ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতার আগের ৪.৫২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ফেরত আনার উদ্যোগ সরকারের

ডুয়া ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১ সালের আগে পাকিস্তানে জমা থাকা ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এই দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করা হবে আগামী ১৭ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। গত ১৫ বছরে এই প্রথমবার দুই দেশের মধ্যে এমন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হতে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, এই অর্থের মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র, সরকারি তহবিল এবং বৈদেশিক সহায়তা। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের পর পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পাঠানো ২০ কোটি ডলারের বিদেশি সাহায্য—যা শুরুতে ঢাকার স্টেট ব্যাংকে রাখা হলেও পরে তা লাহোরে স্থানান্তর করা হয়।
এছাড়াও স্বাধীনতার পর বহু বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারী পাকিস্তান থেকে ফিরে এলেও তাদের সঞ্চিত অর্থ ফেরত দেয়া হয়নি। এসব দাবিও সামগ্রিক হিসাবের অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও দলিলের ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সুসংগঠিত দাবিপত্র তৈরি করেছে, যেখানে স্পষ্টভাবে বকেয়া অর্থের উৎস ও পরিমাণ তুলে ধরা হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ বিভাগের সচিবকে একটি চিঠির মাধ্যমে দ্রুত দাবিসংক্রান্ত সব নথিপত্র পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ ২০১০ সালে ঢাকা-ইসলামাবাদ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশ অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদের ওপর ন্যায্য হিস্যা দাবি করেছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি অনুযায়ী, জনসংখ্যার অনুপাতে বাংলাদেশ অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদের অন্তত ৫৬ শতাংশ দাবিদার ছিল। তবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদান বিবেচনা করলে এই হিস্যা দাঁড়ায় ৫৪ শতাংশে। এমনকি সমান ভাগ নীতিতেও অন্তত ৫০ শতাংশ দাবি করা যৌক্তিক।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের করা এক প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানি সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ ৯০ লাখ টাকা আটকে রেখেছিল।
এছাড়াও রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় যুদ্ধকালীন সময় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। বরং পাকিস্তান সরকার ওই অর্থ শেয়ারে রূপান্তর করে জানালেও কখনো কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।
বাংলাদেশ সরকারের দাবি, পাকিস্তান সরকার যেসব সঞ্চয়পত্র ও বন্ড ইস্যু করেছিল সেগুলোর দায়ভারও তারা এড়িয়ে গেছে। অথচ প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র এবং আয়কর বন্ডের মতো দায়গুলি বাংলাদেশ সরকার পরিশোধ করেছে।
‘Statement of Bangladesh Bank Claims Receivable from State Bank of Pakistan and Government of Pakistan’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এসব দাবির বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার