ঢাকা, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

কুয়েট শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

২০২৫ এপ্রিল ১৫ ১৮:৩৪:৫৫

কুয়েট শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

ঢাবি প্রতিনিধি: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হামলার শিকার শিক্ষার্থীদেরকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কারের প্রতিবাদ এবং তাদের দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’, ‘শিক্ষা সন্ত্রাস, একসাথে চলে না’, ‘গোলামী না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দালাল ভিসির বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই- ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি কিন্তু কুয়েটের ঘটনায় মনে হচ্ছে আমরা আবারও একটি ফ্যাসিবাদের দেশ পেয়েছি। কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত বিএনপি যুবদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে অথচ এরপরও বুয়েটের প্রশাসন অপরাধীদের কোন বিচারের আওতায় আনতে পারেনি, কোন মামলা হয়নি অথচ যারা মার খেয়েছে তাদেরকেই আসামি করে মামলা করা হয়েছে। কুয়েটের ভিসি বিএনপির জিয়া পরিষদের আহ্বায়ক এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা।

জুবায়ের বলেন, যে শিক্ষার্থীরা মার খেয়েছে তাদের ওপর যে মামলা হয়েছে তা বিএনপির মদদে হয়েছে। আমরা কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আছি। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অন্যায় সিদ্ধান্ত থেকে অতি দ্রুত সরে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ ঠেকাতে হল বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। অবিলম্বে দালাল ভিসি মো. মাসুদের পদত্যাগ দাবি করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময় বলেন, তারা (বিএনপি) নব্য ফ্যাসিবাদ হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তাদের এই আশা কোনদিন বাস্তবায়ন হবে না। তারা (আওয়ামী লীগ) তো ভারত পালিয়েছে আপনারা সেটাও পারবেন না।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর বিএনপির সন্ত্রাসীরা যখন হামলা করেছিল তখন শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। সেনাবাহিনী যখন ক্যাম্পাসে ঢুকতে চেয়েছিল তখন এই দালাল ভিসি সেনাবাহিনীকে অনুমতি দেয়নি। শিক্ষার্থীদের ওপর যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জবাবদিহি করতে হবে, কেন তারা এই মামলা গ্রহণ করলো। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে যারা হামলায় জড়িত ছিল তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

মুসাদ্দিক বলেন, আজকে রামপুরায় আওয়ামী লীগ মিছিল করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন তাদের গ্রেফতার করছে না তা জানতে চাই। অতি দ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে হবে, পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি... বিস্তারিত