ঢাকা, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
রাবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রক্টরের ধস্তাধস্তি
.jpg)
ডুয়া নিউজ: ঈদের ছুটি উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলো এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা হল বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন তালাবদ্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রক্টরের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে তুলে ধরে ‘শিক্ষক কোয়ার্টার খোলা রেখে হল বন্ধ কেন?’, ‘আবাসিক হল বন্ধ করা চলবে না’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কি বন্ধ?’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
জানা গেছে, কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ১০টায় এবং দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভবনের ভিতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে বেলা দেড়টার দিকে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তালা খুলতে চেষ্টা করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়।
অবশেষে তালা খুলে উপাচার্যসহ কর্মকর্তাদের মুক্তি দেওয়া হয় কিন্তু এর পরেও আন্দোলনকারীদের ওপর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ উচ্চবাচ্য করতে শুরু করেন। এ ঘটনার পরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, হল বন্ধের সিদ্ধান্তের আগে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি এবং কর্মসূচি চলাকালীন তাদের দাবিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। প্রক্টরের আচরণও তাদের কাছে ফ্যাসিবাদী মনে হচ্ছে। তারা জানিয়েছেন, হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করছে এবং তাদের সংকট সমাধানের জন্য কাজ করছে। তবে প্রশাসন ভবন তালাবদ্ধ করে এ ধরনের কর্মসূচি তাদের কাজকে ব্যাহত করেছে বলে মন্তব্য করেছে প্রশাসন।
রাবির প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান এই ঘটনার বিষয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে হল প্রাধ্যক্ষরা চেষ্টা করেছেন। তবে আন্দোলনকারীরা ভবন তালাবদ্ধ করে প্রশাসনের কাজ বাধাগ্রস্ত করেছে। তিনি দাবি করেন, তালা খোলার জন্য অনুরোধ করার পরও যখন তারা তা খোলেনি তখন ধস্তাধস্তি হয়েছে এবং চাবি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শাকিল হোসেন জানিয়েছেন, তারা আন্দোলনের এক পর্যায়ে এসে প্রশাসনের উপেক্ষা সহ্য করতে না পেরে ভবনে তালা লাগাতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারের আচরণ ছিল ফ্যাসিস্টের মতো।
এদিকে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. বায়তুল মোকাদ্দেছুর রহমান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে এবং এর বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংক এমডিবিহীন, নেতৃত্ব সংকট তীব্র
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা