ঢাকা, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর কবে, জানালেন ঢাবি অধ্যাপক
.jpg)
ঢাবি প্রতিনিধি: পবিত্র রমজান শেষে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর, যা নির্ভর করছে চাঁদ দেখার উপর। ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণে আগামী ৩০ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। সেখান থেকেই আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
তবে তার আগে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন ঈদের সম্ভাব্য তারিখ। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানালেন চূড়ান্ত তারিখ। এর আগেও তার ভবিষ্যতবাণী সত্য হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। তার নাম অধ্যাপক যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আজ সন্ধায় তিনি জানান, ৩১ মার্চ বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে, ইন শা আল্লাহ! অনেকে যাত্রার তারিখ নির্ধারণের জন্য জানতে চান বিধায় উল্লেখ করলাম।
এদিকে চাঁদের স্থানাঙ্ক পরিমাপ করে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৩০ মার্চ চাঁদ দেখার নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট থেকে ৭টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণী প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এবার রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ঈদুল ফিতর হবে ৩১ মার্চ (সোমবার)।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আরেকজন আবাহাওয়াবিদের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ মার্চ চাঁদের বয়স থাকবে দেড় দিনেরও বেশি। চাঁদ দিগন্তের সঙ্গে ১৪ ডিগ্রি কোণে উচ্চতায় থাকবে। আকাশে অবস্থানও করবে বেশি সময়ের জন্য। তাই খালি চোখে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সে অনুযায়ী ৩০ মার্চ চাঁদ দেখার সম্ভাবনা বেশি এবং ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে বলে জানান তিনি। অবশ্য, ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী, চান্দ্র মাস শুরু হাওয়ার ক্ষেত্রে খালি চোখে চাঁদ দেখার শর্ত রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. যুবাইর মুহম্মদ এহসানুল হক বলেন, বিশ্বের কোন মুসলিম দেশে ইসলামি বিধান মোতাবেক চাঁদ দেখা নিশ্চিত হওয়া গেলে সেটিই সব মুসলিমের জন্য প্রযোজ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আমরা তো বেশিরভাগই হানাফি মযহাবে বিশ্বাসী। এর প্রধান আবু হানিফার বক্তব্য ছিলো এটাই যে পৃথিবীর কোন এক জায়গায় চাঁদ দেখা গেছে এ সংবাদ পেলেই রোজা করতে হবে ও ঈদ হবে। এ জিনিসটা ওনার সময়ে পালন অসম্ভব ছিলো কারণ তখন আরেক শহরের খবর আসতো না। এখন তো বিশ্বের এক প্রান্তের খবর মুহূর্তের মধ্যে পাই। তাই আবু হানিফার কথা পালন করা কর্তব্য।’
যুবাইর মুহম্মদ এহসানুল হক বলেন, রোজা বা ঈদের জন্য চাঁদ তো দেখা যেতেই হবে, কিন্তু পৃথিবীর কোথাও দেখা গেলে তার আলোকেই সারা বিশ্বের মুসলমানরা রোজা ও ঈদ করতে পারবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৪ কোম্পানি
- নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে: দুদু
- শেয়ার কারসাজিকারীদের শাস্তি ১০ বছর করার প্রস্তাব
- পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ