ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২
হিজাব না খোলায় পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি, ৯৯৯-এ অভিযোগ ছাত্রীর

ডুয়া নিউজ: খাগড়াছড়িতে হিজাব না খোলার কারণে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন এক ছাত্রী। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে উম্মে আন্জুমানয়ারা এই অভিযোগ তোলেন। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে মাটিরাঙা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে, যেখানে বাউবির সমাজতত্ত্ব পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল।
আনজুমানয়ারা অভিযোগ করেন, "শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পরীক্ষার শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে কলেজের শিক্ষকরা আমাকে নেকাব খুলতে বলেন। আমি একজন নারী শিক্ষক বা নারী শিক্ষার্থীর সামনে নেকাব খোলার অনুরোধ করি, কিন্তু শিক্ষকরা আমার অনুরোধ গ্রহণ করেননি। বরং তারা আমাকে হেনস্তার চেষ্টা করেন।"
তিনি জানান, কলেজের অধ্যক্ষও তার কাছে এসে নেকাব খুলতে বলেন এবং রাজি না হলে পরীক্ষার খাতা নিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। পরবর্তীতে পুলিশ ডেকে তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চেয়ে পরে মাটিরাঙা থানার পুলিশ আসে।
তিনি অভিযোগ করেন, "পুলিশ ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে পরীক্ষার কেন্দ্র এসে উপস্থিত হয়, কিন্তু ততক্ষণে আমার পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে গেছে।"
অনলাইনে তিনি আরও বলেন, "আমি কোনো অসদুপায় অবলম্বন করিনি বা খারাপ ব্যবহারও করিনি। সুতরাং, আমার সঙ্গে অন্যায়ভাবে হওয়া এই আচরণের জন্য আমি প্রতিকার চাই।"
এ বিষয়ে মাটিরাঙা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামাল হোসেন মজুমদার জানান, ‘বিধি অনুযায়ী প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে শিক্ষার্থীর পরিচয় মিলিয়ে পরীক্ষা নিতে হয়। শিক্ষকরা তাকে হিজাব খুলতে অনুরোধ করেছিলেন। আমি মহিলা পুলিশ পাওয়ার জন্যও আমি চেষ্টা করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ আমাকে ফাঁসাতে চায়, তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি বদলি হতে রাজি।’
এদিকে, পার্বত্য নারী সংহতি সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীর প্রতি অমানবিক ও বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে পুনরায় পরীক্ষার সুযোগ প্রদান করতে হবে।’
মাটিরাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে জানলাম একটি শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যখন আমরা কলেজে যাই, তখন প্রিন্সিপাল জানান যে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- শেয়ারবাজারে হঠাৎ দরপতন, নেপথ্যে এনবিআরের চিঠি
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান