ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২
শেয়ারবাজারে দুই শেয়ারের বাজিমাত!

ডুয়া নিউজ: সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস আজ সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই খেল দেখিয়েছে দুই কোম্পানির শেয়ার।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এদিন লেনদেনের প্রথম মিনিটেই কোম্পানি দুটির শেয়ার বিক্রেতাশুন্য হয়ে হল্ডেট হয়ে যায়। শেয়ার দুটি হলো-খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং এসআলম ক্লোড রোল্ড স্টিল।
ডিএসইর তথ্যমতে, আজ লেনদেনের শুরুতে এসআলম ক্লোড রোল্ড স্টিলের শেয়ার সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হয় এবং শুরুতেই ক্রেতাশুন্য হয়ে যায়। আগের দিন শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১০ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির লেনদেন শুরু হয় দিনের সর্বোচ্চ দাম ১১ টাকা ৭০ পয়সায়। শুরুতেই দর বাড়ে সর্বোচ্চ ১ টাকা বা ৯.৩৫ শতাংশ। এ সময়ে লেনদেন হয় দুই লাখের কিছু বেশি শেয়ার এবং সর্বোচ্চ দামে ক্রেতায় দাঁড়ায় ৫ লাখের বেশি।
আগের দিন রোববারও এসআলম ক্লোড রোল্ড স্টিলের শেয়ার সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হয়ে বিক্রেতাশুন্য থাকে। এক সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার ৩০ টাকার ওপরে কেনাবেচা হয়েছে। তারপর এস আলম গ্রুপের নানা কুকীর্তি আলোচনায় আসায় শেয়ারটির দাম তলানিতে নেমে আসে। অনেকদিন ১০ টাকার আশেপাশে থাকার পর শেয়ারটি এখন ওপরে উঠার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, এদিন লেনদেনের প্রথম মিনিটের মধ্যে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ার ২৭ টাকা ৩০ পয়সায় লাখ লাখ শেয়ারের ক্রেতা দেখিয়ে হল্টেড হয়ে যায়। আগের দিন শেয়ারটি ক্রেতা সংকটে পড়ে ২৪ টাকা ৯০ পয়সায় বামে হল্টেড ছিল। আজ শেয়ারটির লেনদেন শুরু হয় ২৫ টাকা ১০ পয়সায়। তারপর মূহুর্তের মধ্যে টানাটানি করে ৯.৬৪ শতাংশ দাম বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ দর ২৭ টাকা ৩০ পয়সায় হল্টেড হয়ে যায়। এ সময়ে শেয়ারটির লেনদেন হয় ৪ লাখের কিছু বেশি। আর সর্বোচ্চ দামে ক্রেতা দাঁড়ায় ৫ লাখের বেশি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ব্যাংক লুটেরা মালিক যেমন বহুল আলোচিত, তেমনি কোম্পানিটির শেয়ারও বহুল আলোচিত-সমালোচিত। এর আগে মালিকদের সঙ্গে যোগসাজস করে কারসাজিকারীরা শেয়ারটির দাম ৬০ টাকায় তুলেছিল। তারপর বিনিয়োগকারীদের পথে বসিয়ে শেয়ারটির দাম নিয়ে আসে ৮ টাকায়। সেখান থেকে সম্প্রতি আবারও কারসাজি করে ৩৩ টাকায় তোলা হয়।
সাম্প্রতিককালে যেভাবে লেনদেন হচ্ছে এবং দাম হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটছে, তাতে কোনভাবেই একে স্বাভাবিক বলা যায় না। শেয়ারটি নিয়ে কারসাজিকারীরা ইদানিং আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইতোমধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) শেয়ারটির লেনদেন খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তারপরও কারসাজিকারীদের দৌরাত্ব থেমে নেই।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কারসাজিকারীদের কারণেই বাজার অস্থিরতার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। বাজারের স্বার্থে এসব কারসাজিকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা জরুরী। তা না হলে স্থিতিশীল শেয়ারবাজার গড়ার বিনিয়োগেকারীদের স্বপ্ন বৃথা হয়ে যাবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর