ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২

এবার রাজশাহী ও খুলনায় ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ

২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ১৫:৫০:২২

এবার রাজশাহী ও খুলনায় ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের দুই বিভাগীয় শহর রাজশাহী ও খুলনায় অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পুরো দিন এই দুটি ভিসাকেন্দ্রে কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হবে না।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের জন্য যেসব আবেদনকারী আগেই ভিসা আবেদন জমাদানের স্লট বুক করেছিলেন, তাদের জন্য পরবর্তীতে নতুন তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হবে।

বাংলাদেশের ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) জানায়, চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

এর আগে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) হঠাৎ করেই দুপুর ২টা থেকে ঢাকার ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। যদিও পরদিন বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঢাকার ভিসাকেন্দ্র পুনরায় চালু হয়েছে। ঢাকার কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্তের আগেই রাজশাহী ও খুলনার কেন্দ্র দু’টি পুরো দিনের জন্য বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়।

ঘটনার ধারাবাহিকতায় বুধবার দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের একাংশের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লার ভারতবিরোধী বক্তব্যের প্রেক্ষাপটেই এই তলবের ঘটনা ঘটে।

সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য যা ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত ভারতের মানচিত্র থেকে আলাদা করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি ওই অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন বলে দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি।

এদিকে বুধবারই বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠদের দেশে ফেরানোর দাবিতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেন একদল মানুষ।

উল্লেখ্য, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটও আয়োজনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে কিছু রাজনৈতিক নেতার বক্তব্যে ভারতবিরোধী সুর শোনা যাচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত