ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‍্যাংকিংয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে ঢাবি, বিশ্বে ৫২তম

ইনজামামুল হক পার্থ

রিপোর্টার

২০২৫ নভেম্বর ২০ ১৩:২৩:৫৯

ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‍্যাংকিংয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে ঢাবি, বিশ্বে ৫২তম

ইনজামামুল হক পার্থ: দ্বিতীয়বারের মতো টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‍্যাংকিং প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের ১২টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই র‍্যাংকিংয়ে স্থান পেয়েছে। এই তালিকায় প্রথম অবস্থান দখল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ র‍্যাংকিংয়ে বিশ্বের ৯৪টি দেশের ৯১১টি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের ৫২তম অবস্থানে রয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। ভারতের সাভেথা ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল অ্যান্ড টেকনিক্যাল সায়েন্সেস ৫৭তম স্থান অধিকার করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার এবারের র‍্যাংকিং প্রকাশ করেছে টাইমস হায়ার এডুকেশন। গতবছর নভেম্বর প্রথমবারের মতো র‍্যাংকিং ২০২৫ প্রকাশ করেছিল খ্যাতনামা শিক্ষা সাময়িকীটি।

র‍্যাংকিংয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৩০১-৩৫০ অবস্থানে, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৩৫১-৪০০, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ৪০১-৫০০ অবস্থানে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৫০১-৬০০ অবস্থানে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৬০১-৮০০ অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

টাইমস হায়ার এডুকেশন ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‍্যাংকিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণার মান ও অবদানকে তিনটি প্রধান দিক থেকে মূল্যায়ন করে: ইনপুট (গবেষণার জন্য অর্থায়ন, অবকাঠামো ও গবেষকদলের দক্ষতা), প্রক্রিয়া (গবেষণার সুযোগ-সুবিধা, প্রশাসনিক সহায়তা, প্রচারণা ও সাফল্যের পরিমাপ) এবং আউটপুট (প্রকাশনা সংখ্যা, গবেষণার মান ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি)। এই তিনটি দিককে ১১টি কর্মক্ষমতার সূচকের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোন মাত্রায় আন্তঃবিষয়ক গবেষণায় বিনিয়োগ করছে, কীভাবে সেই গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে এবং তা থেকে বৈশ্বিক জ্ঞানভাণ্ডারে কী ধরনের অবদান যোগ হচ্ছে—এসব সূচকের সামগ্রিক বিশ্লেষণেই টিএইচই এই র‌্যাংকিং তৈরি করে। ফলে তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু গবেষণায় এগিয়ে নয়, বরং যুগোপযোগী ও বহুমাত্রিক বিজ্ঞানচর্চাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এবারের র‌্যাংকিংয়ে বিশ্বে শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হলো যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। গতবারও এই বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষস্থানে ছিল। শীর্ষ ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থান পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়, এরপর রয়েছে ভারতের ১৩টি।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্যান্য সংবাদ