ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার

২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১১:৫২:৫০

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও দুই আসামির বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট এলাকায় বিজিবি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

ট্রাইব্যুনালের প্রবেশপথে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং সেনা সদস্যদের মোতায়েন দেখা গেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু স্থানে তল্লাশিও করা হচ্ছে। বিজিবি ও ডিএমপির সাঁজোয়া যান রাখা হয়েছে। সকাল ৮টার পর সেনাবাহিনীর টহলদলও উপস্থিত হন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর রাখতে বুধবার থেকেই ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়ে গণপরিবহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি শুরু করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবারও এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া গত রাতে ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও মেসে তল্লাশি চালানো হয়।

রায়ের দিন নির্ধারণ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর তিন সদস্যের বেঞ্চ, যেখানে নেতৃত্ব দেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এর আগে ২৩ অক্টোবর শুনানির শেষে রায়ের জন্য ১৩ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

শেষ দিনে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সমাপনী বক্তব্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন। আর রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাদের খালাসের দাবি করেন।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আদালতে পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।

প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সহিংসতা বা হুমকিকে বিচার প্রক্রিয়ার জন্য থ্রেট মনে করা হচ্ছে না, বরং এটি বিচারের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে করা হচ্ছে। এ মামলার শুনানির দিনগুলো সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে, যা প্রথমবারের ঘটনা।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত