ঢাকা, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

নতুন পে স্কেল নিয়ে তর্ক-বিতর্ক তুঙ্গে, বাড়ছে দাবি-পত্রের সংখ্যা

২০২৫ অক্টোবর ২৫ ২০:৪৬:৪২

নতুন পে স্কেল নিয়ে তর্ক-বিতর্ক তুঙ্গে, বাড়ছে দাবি-পত্রের সংখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নবম পে স্কেল প্রণয়নকে কেন্দ্র করে এখন উত্তপ্ত আলোচনা চলছে। সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ মোট ২১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন।

সংগঠনটি শুধু মূল বেতন কাঠামো নয়, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট এবং বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধিরও দাবি তুলেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, বছরে ১০ শতাংশ স্বয়ংক্রিয় বেতন বৃদ্ধি এবং শিক্ষা, চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

ফেডারেশনের অবস্থান

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৫ সালে কার্যকর হওয়া অষ্টম পে স্কেলে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, আমরা চাই নবম পে স্কেলে সেই বৈষম্যের অবসান হোক। নতুন কাঠামো হতে হবে ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যমুক্ত।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বেতন কমিশনের উচিত দেশের বর্তমান বাজারদর, ছয় সদস্যের পরিবারের গড় জীবনযাত্রার ব্যয় ও পেশাগত বৈষম্য বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

ফেডারেশন মোট ২১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে, যার মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো—

সর্বনিম্ন বেতন: ৩৫,০০০ টাকা

সর্বোচ্চ বেতন: ১,৪০,০০০ টাকা

বছরে ১০% স্বয়ংক্রিয় ইনক্রিমেন্ট

শিক্ষা, চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা বৃদ্ধি

অবসর সুবিধা ও গ্র্যাচুইটির হার বাড়ানো

ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টদের আলাদা প্রস্তাব

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিপিএ) তাদের পক্ষ থেকেও একটি পৃথক প্রস্তাব দিয়েছে। এতে সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকাই রাখা হলেও, গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে ২০ থেকে ১২টি করার দাবি জানানো হয়েছে।

বিডিপিএর প্রস্তাব অনুযায়ী, নতুন জাতীয় বেতন স্কেল ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করতে হবে এবং সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:৪ এর মধ্যে সীমিত রাখতে হবে।

তারা আরও বলেছে, কমিশন চাইলে সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বেশি নির্ধারণ করতে পারে, তবে এতে যেন কাঠামোর ভারসাম্য নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

বেতন কমিশনের অগ্রগতি

জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ সালের জুলাই মাসে গঠিত হয়। কমিশনের লক্ষ্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে জমা দেওয়া।

সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন চাকরিজীবী সংগঠন থেকে এক ডজনেরও বেশি প্রস্তাবনা কমিশনের হাতে পৌঁছেছে। কমিশন এসব প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে মূলত বেতন বৈষম্য হ্রাস ও ক্রয়ক্ষমতা রক্ষা এই দুটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ তৈরির কাজ করছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত