ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে শুনানি চলছে
.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক: বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আপিল বিভাগের তৃতীয় দিনের শুনানি বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন মামলার বিভিন্ন পক্ষের আইনজীবী, এবং আদালতের কক্ষ ছিল সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে পরিপূর্ণ।
শুনানি শুরু হয়েছে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে। এর আগে, বুধবার (২২ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে তার আইনজীবী চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছিলেন।
এইদিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেন। তিনি জানতে চান, রায়ের মাধ্যমে যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে, তবে তা সংসদের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে কি না।
রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবীরা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে এলে সেটিকে অন্তর্বর্তী সরকারের সংজ্ঞার মধ্যে আনা যেতে পারে। তবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আদালতের রায়ে বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
মামলার প্রথম শুনানি গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তার বক্তব্য শুরু করেন। পরবর্তীতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাও আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন ২৭ আগস্ট আপিলের অনুমোদন পায়। এরপর সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ মোট পাঁচজন পৃথকভাবে আপিল করেন।
১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ সরকার দায়িত্ব নিত এবং নির্বাচন পরিচালনা করত। ১৯৯৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়, এবং দীর্ঘ শুনানির পর ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে।
তবে ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করে। আদালত তখন দুইটি জাতীয় নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীনভাবে এই ব্যবস্থা বহাল রাখার সুযোগ দিয়েছিল।
কেএমএ
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শমরিতা হাসপাতাল
- লাফার্জহোলসিমের অন্তর্বর্তীকালিন ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড