ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২
হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় শরীরের যেসব সমস্যা
ডুয়া ডেস্ক: হৃদরোগ এখনও বিশ্বের অন্যতম প্রধান মৃত্যুর কারণ হিসেবে রয়ে গেছে, তবে সুসংবাদ হলো—এটি প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। করোনারি হৃদরোগ সাধারণত ঘটে যখন হৃদপিণ্ডে রক্ত বহনকারী ধমনীগুলো সংকুচিত বা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায়শই ধমনীতে প্লাক বা চর্বির জমার কারণে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই প্রক্রিয়াটিকে এথেরোস্ক্লেরোসিস বলা হয়, যা ধীরে ধীরে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়। এর ফলে ধীরে ধীরে বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক, এমনকি হার্ট ফেইলিওরও হতে পারে।
হৃদরোগের প্রধান ঝুঁকির কারণগুলো:
উচ্চ কোলেস্টেরল:LDL বা ‘খারাপ কোলেস্টেরল’ ধমনীর অভ্যন্তরীণ প্রাচীরে জমে প্লাক তৈরি করে, যা ধমনীকে শক্ত এবং সংকীর্ণ করে তোলে। ফল, শাক-সবজি এবং গোটা শস্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে শরীরে খারাপ চর্বির পরিমাণ কমানো সম্ভব। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ কোলেস্টেরল করোনারি হার্ট ডিজিজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি।
উচ্চ রক্তচাপ:উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিণ্ড এবং ধমনীর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। এটি ধমনীর দেয়াল দুর্বল করে এবং চর্বি জমার ঝুঁকি বাড়ায়। নিয়মিত রক্তচাপ ফলো-আপ, ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার মাধ্যমে হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসা না করলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
ডায়াবেটিস:রক্তে শর্করার মাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে বেশি থাকলে তা রক্তনালী ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। খাদ্য, ব্যায়াম এবং ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। গবেষণা দেখায়, করোনারি আর্টারি ডিজিজের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
ধূমপান:ধূমপান ধমনীর অভ্যন্তরীণ আস্তরণকে ধ্বংস করে এবং রক্ত প্রবাহ ও অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস করে। ফলে হৃদপিণ্ডের ওপর চাপ বাড়ে এবং করোনারি ধমনী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা:নিয়মিত ব্যায়ামের অভাবও স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো ঝুঁকি বাড়ায়। দিনে মাত্র ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটা হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। তাই অলস শুয়ে-বসে না থেকে শারীরিক পরিশ্রমমূলক কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।
স্থূলতা:পেটের চারপাশে অতিরিক্ত ওজন বহন করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সঠিক ব্যায়াম এবং খাদ্য সচেতনতার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়।
কেএমএ
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শমরিতা হাসপাতাল
- লাফার্জহোলসিমের অন্তর্বর্তীকালিন ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি সরাসরি দেখুন(LIVE)
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন