ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

কসম ভেঙে গেলে কী করবেন?

২০২৫ অক্টোবর ১৭ ০২:০০:৪২

কসম ভেঙে গেলে কী করবেন?

ধর্ম ডেস্ক: কেউ যদি আল্লাহর নামে কসম করে কোনো কথা বলার পর তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয় বা কসমটি ভেঙে ফেলে, তাহলে তাকে কাফফারা আদায় করতে হয়। কসম হলো, যেমন কেউ বললো, ‘আল্লাহর কসম আমি আর কখনও রাতে ভাত খাব না’, পরে যদি সে রাতে ভাত খায়, তাহলে তার কসম ভেঙে যাবে এবং এর জন্য কাফফারা দিতে হবে।

কসমের কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি:

আল্লাহ তাআলা সুরা মায়েদার ৮৯ নম্বর আয়াতে কসমের কাফফারা সম্পর্কে বলেছেন। এর কাফফারা হলো:

1. দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খাবার খাওয়ানো: এটা এমন মধ্যম ধরনের খাবার হবে, যা সাধারণত নিজেদের পরিবারকে খাওয়ানো হয়।

2. অথবা দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে এক জোড়া করে কাপড় দেওয়া।*

3. যদি উপরের দুটি উপায় অবলম্বনের সামর্থ্য না থাকে, তাহলে লাগাতার তিন দিন রোজা রাখা।*

টাকা দিয়ে কাফফারা আদায়:খাবার খাওয়ানো বা পোশাক বিতরণের বদলে এর যে কোনোটির মূল্য অর্থাৎ দশজন মিসকিনকে দুই বেলা মধ্যম মানের খাবার খাওয়ালে যে ব্যয় হতো তা হিসাব করে অথবা দশ জোড়া পোশাকের মূল্য সদকা করলেও কাফফারা আদায় হয়ে যায়।

কসমের কল্যাণকর দিক:ইসলামে আল্লাহর নামে করা কসমকে কোনো কল্যাণকর কাজের জন্য প্রতিবন্ধক বানানো উচিত নয়। যদি কেউ কোনো কাজ করা বা না করার কসম করার পর মনে করে যে কসমের বিপরীত কাজটিই কল্যাণকর, তাহলে তার কর্তব্য হলো কসম ভেঙে কল্যাণকর কাজটি করা এবং এর জন্য কাফফারা দিয়ে দেওয়া। নবীজি (সা.) নিজেও এ রকমই করতেন। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, "কোনো বিষয়ে কসম করার পর তার বিপরীত কাজ উত্তম মনে হলে আমি কাফফারা দেই এবং উত্তম কাজটিই করি।" (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

সুতরাং, কসমের বিধান অনুযায়ী, কল্যাণকর কাজের জন্য কসম ভেঙে কাফফারা আদায় করাই শ্রেয়।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

ঢাকার আকাশে উড়ছে খাবার

ঢাকার আকাশে উড়ছে খাবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় নতুন প্রযুক্তির সূচনা ঘটেছে। জাপানি রেস্টুরেন্ট ইজাকায়া ঢাকায় একদিনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে ড্রোন ব্যবহার... বিস্তারিত