ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২

টাইফয়েড প্রতিরোধে সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য: নূরজাহান

২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১৫:১৭:৩০

টাইফয়েড প্রতিরোধে সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য: নূরজাহান

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সব শিশুর জন্য টাইফয়েড টিকাদান নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, “আমার ঘরে নাতি-নাতনি আছে, কাজের লোকেরও বাচ্চা আছে— কেউ বলেনি যে টাইফয়েডের টিকা নিচ্ছে। মানে আমরা সব ঘরে পৌঁছাতে পারিনি। জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক, কোনো শিশুকে বাদ দেওয়া চলবে না।”

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫-এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আরও বলেন, “ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ বহু প্রতিরোধযোগ্য রোগ আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। তবু দেশের শিশুরা আজও টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় বা স্থায়ী অঙ্গহানির শিকার হয়। এটা লজ্জার বিষয়। টাইফয়েড কোনো জটিল বা অজানা রোগ নয়—পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য। দেরি হলেও আমরা টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছি, এবং আমরা বিশ্বাস করি, এবারও সফল হবো।”

তিনি এও বলেন, “টাইফয়েড অল্প বয়সী শিশুদের জীবন বিপন্ন করে। কিন্তু পরিবারগুলো এর গুরুত্ব বোঝে না, অনেকেই জানে না যে এই টিকা এখন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। এটি আমাদের যোগাযোগের ঘাটতি। মানুষ যেন ভয় বা বিভ্রান্তিতে না থাকে, সেই প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে। স্কুল, মসজিদ ও কমিউনিটি সেন্টার—সব জায়গায় বার্তা পৌঁছানো জরুরি।”

নূরজাহান বেগম সামাজিক অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এটি শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়। ইমাম, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সমাজকর্মী—সবার অংশগ্রহণ দরকার। মিডিয়াও আমাদের সহযোদ্ধা। স্বাস্থ্য খাত একা সফল হতে পারে না, সামাজিক সহযোগিতা মূল শক্তি।”

তিনি আরও নির্দেশ দিয়েছেন, “শতভাগ শিশুর টিকাদান নিশ্চিত করা হবে। কেউ যেন বাদ না যায়। একটি শিশু বাদ পড়া মানে একটি পুরো পরিবার ঝুঁকিতে। জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক, কোনো অজুহাতে শিশুকে বাদ দেওয়া যাবে না। বস্তির শিশুরাও টিকার আওতায় আসবে। টিকাদান প্রক্রিয়া সহজ, বিনামূল্যে ও গ্রহণযোগ্য রাখতে হবে।”

স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, “জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে সফল উদ্যোগ। টাইফয়েডও অচিরেই নিয়মিত কর্মসূচির আওতায় আসবে। যদি মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ইন্টার্ন ডাক্তারদের মাঠে যুক্ত করা হয়, তাহলে কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।”

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত