ঢাকা, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

কঙ্গোর সাবেক প্রেসিডেন্ট’র মৃত্যুদণ্ড

২০২৫ অক্টোবর ০১ ১২:৪৮:৫১

কঙ্গোর সাবেক প্রেসিডেন্ট’র মৃত্যুদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলাকে যুদ্ধাপরাধ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সামরিক আদালত তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করেছে, যেখানে অভিযোগ এসেছে, তিনি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩-কে সহায়তা করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, ৫৪ বছর বয়সী কাবিলাকে রাষ্ট্রদ্রোহ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে হত্যা, যৌন সহিংসতা, নির্যাতন এবং বিদ্রোহে উসকানির মতো গুরুতর অপরাধ।

কাবিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি পূর্ব কঙ্গোর ধ্বংসযজ্ঞ চালানো এম২৩ বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করেছেন। তবে আদালতে উপস্থিত না হয়ে কাবিলা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আদালতকে “দমননীতির হাতিয়ার” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে আততায়ীর গুলিতে তার বাবা লরঁ কাবিলা নিহত হওয়ার পর জোসেফ কাবিলা ক্ষমতায় আসেন। এরপর ১৮ বছর দেশের শাসন করার পর ২০১৯ সালে ক্ষমতা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স সিসেকেদিকে হস্তান্তর করেন। পরে ২০২৩ সালে তিনি স্বেচ্ছায় নির্বাসনে চলে যান।

এপ্রিল মাসে কাবিলা জানিয়েছিলেন, তিনি পূর্বাঞ্চলে চলমান সংঘাত নিরসনে ভূমিকা রাখতে চান। মে মাসে এম২৩ নিয়ন্ত্রিত গোমা শহরে হাজির হন। ডিআর কঙ্গোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিসেকেদি অভিযোগ করেছেন, কাবিলা এই বিদ্রোহীদের পেছনের মূল পরিকল্পনাকারী। এরপর সিনেট তার সাংবিধানিক দায়মুক্তি প্রত্যাহার করে এবং বিচার প্রক্রিয়ার পথ উন্মুক্ত হয়।

২০২৫ সালে এম২৩ বিদ্রোহীরা খনিজসমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলের বড় অংশ দখল করেছে। এতে গোমা, বুকাভু শহর এবং দুটি বিমানবন্দর অন্তর্ভুক্ত। জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করেছে, প্রতিবেশী রুয়ান্ডা এম২৩-কে সমর্থন দিচ্ছে এবং কঙ্গোতে সেনা পাঠাচ্ছে। তবে কিগালি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তারা বলেছে, তাদের লক্ষ্য শুধু সংঘাতের প্রভাব নিজেদের দেশে ছড়িয়ে পড়া রোধ করা।

এ বছরের জুলাইয়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও সহিংসতা এখনও থামেনি।

একে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত