ঢাকা, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২

চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বৃদ্ধি স্থগিত: নৌ পরিবহন উপদেষ্টা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ২১:০০:০৫

চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বৃদ্ধি স্থগিত: নৌ পরিবহন উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রতি বৃদ্ধি করা মাশুল হার এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত 'কাস্টমস ও বন্দর ব্যবস্থাপনা- সম্ভাবনা, সমস্যা ও ভবিষ্যৎ' শীর্ষক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "শুল্ক নিয়ে কথা হচ্ছে, এটি আরও এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা সম্মত হয়েছি, এক মাস পিছিয়ে দেবো।"

গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন সেবা খাতে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় এবং পরদিন থেকে তা কার্যকর হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ৫২টি খাতে মাশুল আদায় করা হয়, যার মধ্যে ২৩টি খাতে সরাসরি বর্ধিত হারে ট্যারিফ আদায় অনুমোদন হয়েছিল।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বন্দর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আদায়যোগ্য ভাড়া, টোল, রেইল, ফি ও মাশুলের ক্ষেত্রে নতুন ট্যারিফ তফসিল কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। মাশুলের ক্ষেত্রে ডলারপ্রতি বিনিময়মূল্য ১২২ টাকা ধরা হয়েছিল। ডলারের বিনিময়মূল্য বাড়লে মাশুলও বাড়ার কথা ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ ডলার হিসেবে মাশুল আদায় করে।

সবচেয়ে বেশি মাশুল বেড়েছিল কনটেইনার পরিবহন খাতে। প্রতিটি ২০ ফুট লম্বা কনটেইনারে ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা থেকে ৪ হাজার ৩৯৫ টাকা বেড়ে নতুন মাশুল দাঁড়িয়েছিল ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা। এই হিসাবে প্রতি কনটেইনারে মাশুল গড়ে ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

এছাড়াও, কনটেইনারবাহী জাহাজের ক্ষেত্রে আমদানি কনটেইনারের জন্য ৫ হাজার ৭২০ টাকা ও রপ্তানি কনটেইনারের জন্য ৩ হাজার ৪৫ টাকা মাশুল বাড়ানো হয়েছিল। প্রতিটি কনটেইনার ওঠানামার ক্ষেত্রে প্রায় তিন হাজার টাকা মাশুল বাড়ানো হয়েছিল। কনটেইনারের প্রতি কেজি পণ্যের জন্য মাশুল আগের ১ টাকা ২৮ পয়সার সঙ্গে আরও ৪৭ পয়সা বাড়ানো হয়েছিল। সার্বিকভাবে শুধু ওঠানামাসহ কনটেইনার পরিবহন খাতেই মাশুল ২৫ থেকে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবা খাতে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছিল। প্রায় ৪০ বছর পর অন্তর্বর্তী সরকার বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। দেশের আমদানি-রপ্তানিকেন্দ্রিক সমুদ্র বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ এবং কনটেইনার ও পণ্য পরিবহনের ৯৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত