ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

বেরোবিতে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর বরখাস্ত 

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৩:০২:০৪

বেরোবিতে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর বরখাস্ত 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর মোছা. ইরিনা নাহারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার স্নাতকোত্তর সনদ জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ১১৫তম সিন্ডিকেট সভায় সনদ জালিয়াতির বিষয়টি তোলা হলে সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একই সঙ্গে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যা খতিয়ে দেখবে কীভাবে তিনি জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি ও প্রমোশন পেতে সক্ষম হয়েছেন।

এর আগে ইরিনা নাহারকে ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল মূল সনদ জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি তা করতে ব্যর্থ হওয়ায় বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।

ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর পদে যোগদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে শারীরিক শিক্ষা (বিপিএড) বিভাগ থেকে ডিগ্রি প্রাপ্ত হতে হবে।

তবে ইরিনা নাহার স্নাতকোত্তরের যোগ্যতা ছাড়াই ২০১২ সালে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়ার সিদ্ধান্তে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পান। ৯ বছর চাকরিতে থাকার পর ২০২২ সালে তিনি একটি সনদ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেন, যা যাচাই করলে ভুয়া প্রমাণিত হয়।

এর আগে ২০১২ সালের ১ মার্চ তাকে ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৬ মাস বাড়ানো হয় এবং ২০২৪ সালের ২৩ মার্চ স্থায়ী পদে পদায়ন করা হয়।

মোছা. ইরিনা নাহার বলেন, “আমি যে সার্টিফিকেট পেয়েছি সেটাই দিয়েছি, আমি জানতাম না এটি জাল।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আসার পর প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা সকল নিয়োগ ও প্রমোশনের নথি পুনরায় যাচাই করার পরিকল্পনা করছে, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের অনৈতিক ঘটনা পুনরায় ঘটতে না পারে।

ইএইচপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত