ডাকসু নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা: বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনা নিরসনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারও দুই দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সরকার উভয় পক্ষকেই সতর্ক করে বার্তা দিয়েছে যে, বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট চলাকালীন ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাগছাসের সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা ভোটের আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং কারচুপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন।

নির্বাচনের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ থাকায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান নেন। ভোট চলাকালে প্রেস ক্লাব এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা এবং শাহবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা অবস্থান করেন। শাহবাগের একপাশে বিএনপির নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যার পর মহানগর ছাত্রদল বাংলামোটর এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যায়। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হন, অন্যদিকে জামায়াতও শাহবাগে তাদের অবস্থান ধরে রাখে। এই পরিস্থিতিতে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়।

রাজনৈতিক সূত্র মতে, উত্তেজনা নিরসনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী টেলিফোনে দুই দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সমকালকে জানান, আইন উপদেষ্টাসহ আরও দুজন ফোন করেছিলেন এবং উত্তেজনা কমাতে পরামর্শ দিয়েছেন। বিএনপি সরকারকে আশ্বস্ত করেছে যে সংঘাতের আশঙ্কা নেই এবং দলের সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতারাও সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন। দুজন নেতা জানান, জামায়াত সংঘর্ষে জড়াবে না এবং বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রবেশ করবে না। তবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা ছেড়ে যাবে না।

এসপি