ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২
ভরা মৌসুমেও ইলিশের নাগাল নেই, মুরগি-মাংসও হাতের বাইরে

মোবারক হোসেন
সিনিয়র রিপোর্টার

মোবারক হোসেন: রাজধানীর বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে সাধারণ ক্রেতারা দিশেহারা। মাছ, মাংস, সবজি থেকে শুরু করে চাল, ডাল, আটা, ময়দা—সব কিছুর দামই বেড়ে গেছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) আজিমপুর, পলাশি মার্কেট ও আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভরা মৌসুমেও ইলিশসহ মাছের দাম চড়া, মুরগি ও মাংস সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে এবং সবজির বাজারও স্থিতিশীল হয়নি।
মাছের বাজার
আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। সবচেয়ে ছোট ইলিশও ১ হাজার ২০০ টাকার নিচে মিলছে না। ফলে অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরছেন বা ছোট ইলিশ কিনেই সীমিত থাকছেন। পাঙাস ২০০ টাকা কেজি, আর রুই মাছ আকারভেদে ৩৪০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংস ও মুরগি
গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০-৮০০ টাকা এবং খাসি-ছাগলের মাংস ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। তবে সোনালি মুরগি ৩২০-৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩২০-৩৪০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে ব্রয়লার ছাড়া অন্য মুরগি কেনা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ১৪০-১৪৫ টাকা; হালি হিসেবে কিনলে ৫০ টাকার নিচে নেই।
চাল, আটা ও ময়দা
চালের দাম এখনো চড়া। মিনিকেট চাল মানভেদে কেজিতে ৭২-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫-৯৫ টাকা, ব্রি-২৮ চাল ৬২ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি প্যাকেটজাত আটা ৫৫-৬০ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৭০-৭৫ টাকা (খোলা ময়দা ৬৫-৭০ টাকা) দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডাল, চা ও তেল
ভালো মানের মসুর ডালের দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ১৪৫-১৫০ টাকা হয়েছে। একেক প্যাকেট চা পাতার দামও ১০ টাকা করে বেড়েছে। ভোজ্যতেলের বাজারে সাম্প্রতিক বড় পরিবর্তন না থাকলেও ক্রেতাদের জন্য চাপ রয়ে গেছে।
সবজি ও মসলা
সবজির বাজারেও দাম কমেনি। বেগুন ১০০-১৪০, করলা ৯০-১০০, কচুর লতি ৮০-১০০, ঢ্যাঁড়স ৭০-৮০, কচুমুখি ৫০-৬০, পেঁপে ৩০-৪০ এবং চিচিঙ্গা ও ঝিঙে ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ কেজিতে ২২০-২৬০ টাকা। পেঁয়াজ খুচরা বাজারে এখনো ৭০-৮০ টাকা কেজি, যদিও পাইকারি দরে দেশি পেঁয়াজ ৬৫-৭২ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম কিছুটা কমে কেজিপ্রতি ১৫০-১৬০ টাকায় নেমেছে।
অটোরিকশাচালককবির হোসেন বলেন, একদিনের আয় দিয়েও বাজার মেলে না। চাল-তেল কিনলে মাছ-মাংস কেনা যায় না, আবার মসলা কিনলে সবজি বাদ পড়ছে। অন্যদিকে ক্রেতা রবিউল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ব্রয়লার মুরগিও এখন ১৬৫-১৭০ টাকা, আগের মতো আর সাশ্রয়ী নেই। আরেক ক্রেতা জুয়েল বলেন, সোনালি মুরগি কিনতে গেলে একটি ৩৬০-৩৭০ টাকা পড়ে, যা এক কেজিও হয় না। ফলে বাধ্য হয়ে ব্রয়লারেই সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে।
সব মিলিয়ে বাজারদর নিয়ন্ত্রণহীন থাকায় সীমিত আয়ের মানুষদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার