ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২
পাঠ্যবইয়ে আসছে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ অধ্যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক 'জুলাই অভ্যুত্থান' আরও বিস্তৃত পরিসরে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সীমিত আকারে এটি স্থান পেলেও, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ অধ্যায় আকারে এটি যুক্ত করা হবে। একইসঙ্গে, ধারাবাহিকতা রক্ষায় ১৯৭১ পরবর্তী রাজনৈতিক ইতিহাসও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পাঠ্যক্রম চূড়ান্ত হয়েছে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনও পাওয়া গেছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের বয়স ও বোধগম্যতা অনুযায়ী প্রতিটি বইয়ে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য এক থেকে তিন পৃষ্ঠায় থাকতে পারে। নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ অধ্যায় হিসেবে থাকবে, যেখানে আন্দোলনের পটভূমি, বিভিন্ন স্তরের অংশগ্রহণ, সহিংসতার দিনগুলো, নিহতদের স্মৃতি এবং রাজনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা বিস্তারিত জানতে পারবে।
শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থানই নয়, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের নির্দিষ্ট অধ্যায়ে স্বাধীনতা-উত্তর সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের চিত্রও তুলে ধরা হবে, যার মধ্যে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে বিশ্লেষণধর্মী পাঠ হিসেবে জুলাই আন্দোলনকে মানবিক-সামাজিক প্রেক্ষাপটে তুলে ধরা হবে সাহিত্যপাঠ বইয়ে প্রবন্ধ আকারে, এবং ইংলিশ ফর টুডে বইয়ে এটি একটি সমকালীন প্রবন্ধ হিসেবে থাকবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, মুক্তিযুদ্ধ যেমন দেশের গতিপথ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানও তারই ধারাবাহিকতায় একটি মাইলফলক। এটি শুধু স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন নয়, বরং সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে যুবসমাজের সাহসিকতার প্রতীক। শিক্ষার্থীদের কাছে এই ইতিহাস তুলে ধরে তাদের নাগরিক চেতনা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সমাজ পরিবর্তনের প্রেরণা জাগানোই মূল লক্ষ্য।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সমন্বয়কেরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, মুক্তিযুদ্ধ যেমন প্রজন্মের গর্ব, তেমনি জুলাই অভ্যুত্থানও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সমাজ পরিবর্তনের নতুন পাঠ হয়ে থাকবে। এটি নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম, গণতান্ত্রিক চেতনা ও নাগরিক দায়িত্ববোধে অনুপ্রাণিত করবে। তবে, শুধু পাঠ্যবইয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে এ নিয়ে গবেষণা, প্রামাণ্যচিত্র, নাটক এবং শিক্ষাঙ্গনে আলোচনা সভার আয়োজনের ওপরও জোর দিয়েছেন তারা, যাতে শিক্ষার্থীরা ইতিহাসের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নিজেদের ভূমিকার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে