ঢাকা, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২
‘নতুন সংবিধানের দাবি পাশ কাটিয়ে গেছেন ড. ইউনূস’
.jpg)
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন মন্তব্য করে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্রে সংস্কারকৃত সংবিধান শব্দ ব্যবহার করে গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সংবিধানের দাবিকে পাশ কাটিয়ে গেছেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় আখতার হোসেন এসব কথা বলেন তিনি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র হাতে পেয়েছি, কিন্তু এটি একটি অপূর্ণাঙ্গ নথি। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনের পর সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এই ঘোষণাপত্র যুক্ত করা হবে। কিন্তু সংস্কারের বিষয়গুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে সে বিষয়ে আলোচনা চাওয়া হলে কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা এনসিপির সঙ্গে বসবে। বর্তমানে কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলছে। তবে জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া এখনো এনসিপির হাতে আসেনি। ঠিক এই সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংস্কারকৃত সংবিধান শব্দ ব্যবহার করে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের দাবিকে পাশ কাটিয়ে গেছেন।
আখতার হোসেন বলেন, ঐকমত্য কমিশন ইতিমধ্যেই তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। সেগুলো বর্তমান সংবিধানে সংশোধনী আকারে বসিয়ে একটি খসড়া তৈরি করে দেখুন তাতে বিদ্যমান সংবিধানের আর কিছু অবশিষ্ট থাকে কি না। আমরা বারবার এ কথাই বলেছি।
এনসিপির এই নেতা বলেন, এই সংবিধান বহুবার কাটাছেঁড়া ও সংশোধনের মধ্য দিয়ে গেছে। সংসদে সংশোধনী পাস হওয়ার পরও সেগুলো যখন হাইকোর্টে গিয়েছে, আদালত অনেকগুলো বাতিল করে দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে এবং ঐকমত্য কমিশন যেসব সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেগুলোকে দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর রাখতে হলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, শহীদরা এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আবারও রক্তপাতের মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্য জীবন দেননি। আমরা যখন গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলি, তখন কেউ কেউ বাজারে প্রচার করে যে এনসিপি জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায়। অথচ আমাদের প্রস্তাব হলো নির্বাচিত প্রতিনিধিরা একইসঙ্গে গণপরিষদের সদস্য ও সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করবেন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবেন এবং সরকার পরিচালনা করবেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের কথা বলেছে এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। নির্বাচন যেকোনো সময় হতে পারে। তবে তা যেন পুরোনো ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার নির্বাচন না হয় নতুন ব্যবস্থার ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ