ঢাকা, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন’

২০২৫ আগস্ট ১৫ ১৭:৪৭:৪৯

‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন’

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জাতির পিতা নন। তবে মুক্তিসংগ্রামে তার অবদান ও ত্যাগ স্বীকারের কথা স্বীকার করলেও শাসনামলের জাতীয় ট্র্যাজেডি স্মরণে আছে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম লিখেন, শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও তার শাসনামলে দেশ ভারতের উপনিবেশে পরিণত হয়, ১৯৭২ সালে জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয় এবং লুটপাট, রাজনৈতিক হত্যা ও একদলীয় বাকশাল শাসনের ভিত্তি স্থাপিত হয়।

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, আ’লীগের ফ্যাসিবাদী রাজনীতির আড়ালে মুজিব পূজা ও মুক্তিযুদ্ধ পূজা চালু করে জনগণের উপর রাজনৈতিক মূর্তি পূজার সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে জনগণকে শ্রেণিভেদে বিভক্ত করা হয় এবং গণতন্ত্রের নামে আধুনিক জমিদারি কায়েম করা হয়।

তিনি লেখেন, মুক্তিযুদ্ধ ছিল সব মানুষের সংগ্রাম, কিন্তু আ’লীগ বহু বছর ধরে বাংলাদেশকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে, জবাবদিহিতাহীন শাসন ও দুর্নীতিকে মুজিবের নামে ন্যায্যতা দিয়েছে। ২০২৪ সালের জনবিদ্রোহে এই জমিদারি শাসন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নাহিদ ইসলামের মতে, জাতির পিতা শিরোনাম কোনো ইতিহাস নয়, বরং বৈষম্যকে আড়াল করে রাষ্ট্রকে একচেটিয়া করার একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। বাংলাদেশ সব নাগরিকের সমান, এখানে কোনো ব্যক্তি জন্ম বা ভবিষ্যতের মালিকানা দাবি করতে পারে না।

তিনি আরও লিখেন, মুজিববাদ একটি ফ্যাসিস্ট মতাদর্শ, যা গুম, হত্যা, ধর্ষণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, সম্পদ লুট, ইসলামোফোবিয়া, সাম্প্রদায়িকতা, সংখ্যালঘু ভূমি দখল এবং বিদেশি শক্তির কাছে জাতীয় সার্বভৌমত্ব বিক্রির মাধ্যমে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ষোলো বছর ধরে মুজিবকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও গণহত্যা চালানো হয়েছে।

নাহিদ ইসলাম দাবি করে লেখেন, মুজিববাদ এখনো জীবন্ত হুমকি এবং এটিকে পরাজিত করতে রাজনৈতিক, আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের লক্ষ্য সমঅধিকারভিত্তিক প্রজাতন্ত্র গড়া, যেখানে কোনো দল, বংশ বা নেতা জনগণের ঊর্ধ্বে থাকবে না। বাংলাদেশ কারো সম্পত্তি নয়, এটি গণপ্রজাতন্ত্র।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত