ঢাকা, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২
তিন শেখ মুজিবের সন্ধান দিলেন মির্জা গালিব, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব বলেছেন, ‘বাংলাদেশে তিন জন শেখ মুজিব আছে’। একই সঙ্গে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে শেখ মুজিবের মূর্তি ধীরে ধীরে ‘ফ্যাসিস্ট মুজিবের’ প্রতীকে পরিণত হয়।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাঠকদের জন্য নিচে অধ্যাপক মির্জা গালিবের পোস্টটি তুলে ধরা হলো—
‘বাংলাদেশে আমাদের তিন জন শেখ মুজিব আছে।
প্রথম জন- মুক্তিযুদ্ধের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। যিনি ৭১-এ আমাদের মুক্তি সংগ্রামের নেতা ছিলেন, প্রেরণা ছিলেন। যিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতিদের একজন।
দ্বিতীয় জন- একনায়ক শেখ মুজিব, যে রক্ষীবাহিনী বানাইয়া বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শুরু করেছিল, গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। আমাদের ট্রাজেডি, শেখ মুজিবই প্রথম সরকার-প্রধান যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বেইমানী করে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল।
তৃতীয় জন- ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিব, হাসিনা যারে সামনে রাইখা একটা ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী জুলুমতন্ত্র চালাইছে। মুজিবের মূর্তি বানাইয়া আর চেতনা ইন্ডাস্ট্রি বিক্রি কইরা যে ফ্যাসিবাদ হাসিনা কায়েম করছিল, সেই ফ্যাসিবাদের কারখানায় শেখ মুজিবের মূর্তি ফ্যাসিস্ট মুজিবের মূর্তি হইয়া উঠছে।
ছাত্র জনতা আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের মূর্তি ভাঙছে, এই মূর্তি আমাদের ভাইঙ্গা গুড়ায়েই দিতে হবে। গণতন্ত্রকামী সব মানুষের এইটাই সঠিক রাজনৈতিক কর্তব্য।
একনায়ক শেখ মুজিবে পতনও আমাদের উদযাপন করতে হবে। আগস্টের ১৫ তারিখ শেখ মুজিবের পরিবার, বন্ধু এবং যারা তারে ভালোবাসে/ভালোবাসত তাদের জন্য সীমাহীন বেদনার দিন। এই বেদনার প্রতি সেনসিটিভ থাইকাই বলতেছি। মুক্তিযুদ্ধের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কেমন কইরা একনায়ক শেখ মুজিব হইয়া উঠলেন আর এই ট্রাজিক পরিণতির দিকে নিজ পায়ে হাইটা গেলেন, সেই ইতিহাস চর্চা যদি আমরা না করি, তাইলে আমরা কোনোদিনও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বানাইতে পারব না। ইনফ্যাক্ট, এই চর্চা আমাদের মিডিয়া আর সিভিল সোসাইটিতে ছিলনা বইলাই হাসিনা আমাদের দেশরে একটা ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী জুলুমতন্ত্র বানাইয়া ফেলতে পারছিল।
হাসিনার এই ফ্যসিজমের পরেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের ইতিহাসে শ্রদ্ধার সঙ্গে থাইকা যাবেন। বাংলাদেশের অন্যতম (অনেকের মধ্যে একজন, একলা না) ফাউন্ডিং ফাদার হিসেবেই থাইকা যাবেন। আমরাই রাখবো তারে। আমরা ২৬ মার্চ আর ১৬ ডিসেম্বর শ্রদ্ধার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করব। কিন্তু আগস্টে আমাদের রাজনৈতিক কর্তব্য হইল এইটা বোঝা যে, কেমনে বিপ্লবের পরে/অভ্যুথানের পরে/ স্বাধীনতার পরে নায়করা ভিলেন হইয়া ওঠে আর পতনের রাস্তায় হাইটা যায়। আর পতিত একনায়ককে সমালোচনা না কইরা, ইনডেমনিটি দিয়া মাথার উপরে উঠাইলে কেমনে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের জন্ম হয়।’
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশে বনাম হংকং, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- আজ বাংলাদেশ বনাম হংকং ফুটবল ম্যাচ: কখন, কোথায় ও কিভাবে লাইভ দেখবেন
- বাংলাদেশে বনাম আফগানিস্তান,খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের যুগান্তকারী ঘোষণা
- বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- ডুবছে ওষুধের দুই কোম্পানি, বিনিয়োকারীদের কপালে চিন্তার ভাজ
- সাত কোম্পানির শেয়ারে কারসাজির গন্ধ!
- ঢাবি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে জাপান, আবেদন করবেন যেভাবে
- বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল শেয়ারবাজারের খেতাব পেল বাংলাদেশ!
- শেয়ারবাজারের কোম্পানিতে কারসাজির গন্ধ! তদন্তে নেমেছে বিএসইসি
- উৎপাদন বন্ধ চার কোম্পানির শেয়ার নিয়ে সতর্কতা জারি
- জেডে নেমে তিন শেয়ারের ধস, বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব হওয়ার শঙ্কা
- বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় বিএসইসির বড় পদক্ষেপ, আসছে নতুন নিয়ম
- মশিউর সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা