ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
ঢাবির উপাচার্যদের মধ্যে ‘সম্মানজনক’ পদত্যাগ করেছিলেন যারা
.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত ৩০ জন উপাচার্য পেয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, কেউ বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেছেন আর কেউ বা সম্মানের সাথে পদত্যাগ করে বিদায় নিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ডুয়া নিউজের আজকের বিশেষ আয়োজনে থাকছে যেসব উপাচার্য সম্মানের সাথে বিদায় নিয়েছিলেন তাদের কথা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও গণমাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ জন উপাচার্য সম্মানজনক পদত্যাগ করেছিলেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন-অধ্যাপক মাহমুদ হুসেইন। তিনি ১৯৬০ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঢাবির উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে প্রাদেশিক গভর্নর আবদুল মোনায়েম খান ঢাকা কলেজে ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এরপর মোনায়েম খান ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু উপাচার্য মাহমুদ হুসেইন বলেন, ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে ঘটেনি, তাই বিষয়টি তার এখতিয়ারবহির্ভূত। এতে মোনায়েম খান অসন্তুষ্ট হওয়ায় ১৯৬৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ থাকার পরও মাহমুদ হুসেইন পদত্যাগ করেন।
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী: একাত্তরের ১৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ সংবাদ পাওয়ামাত্র এক মুহূর্ত বিলম্ব না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে পদত্যাগপত্রে স্পষ্ট ভাষায় লিখেন- 'আমার নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর গুলি চালনার পর আমার ভাইস চ্যান্সেলর থাকার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। তাই আমি পদত্যাগ করলাম।’
অধ্যাপক ফজলুল হালিম চৌধুরী: শিক্ষার্থীদের ওপর সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের নিপীড়নের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফজলুল হালিম চৌধুরী। জানা যায়, এরশাদ সরকারের চাপে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে ১৯৮৩ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। দায়িত্ব গ্ৰহণ করেছিলেন ১৯৭৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি।
অধ্যাপক এম. শামসুল হক: অধ্যাপক এম. শামসুল হক ১৯৮৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মেয়াদকালের শেষ সময়ে এসে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের অন্যায় আদেশ মানতে না পেরে ১৯৮৬ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। সম্পূর্ণ আশির দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল ছিল।
অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ: সম্মাজনক বিদায় নেন অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদও। ১৯৯২ সালে ভিসি’র দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৯৬ সালে পদত্যাগ করেন। জানা যায়, প্রভোস্ট নিয়োগ নিয়ে তখনকার শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেকের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে পদত্যাগ করেন তিনি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকা সত্বেও ফেসভ্যালুর নিচে ১৬ ব্যাংকের শেয়ার
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- রেকর্ড তলানিতে তিন কোম্পানির শেয়ার: বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ
- ঢাবিতে বিস্ফোরণের শব্দে প্রকম্পিত টিএসসি এলাকা