ঢাকা, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও গণতন্ত্র চর্চা এখনো শুরু হয়নি: তারেক রহমান
.jpg)
ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও গণতন্ত্র চর্চার সুষ্ঠু কর্মপ্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিশ্বজুড়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও হানাহানি বেড়েই চলছে। এর ফলে অসংখ্য মানুষ হতাহত ও পঙ্গু হয়ে পড়ছে। স্বৈরশাসকরা বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের মাত্রা দিন দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব দেশে নাগরিকদের জীবন ও সম্পদ চরম হুমকির মুখে পড়েছে।
তিনি বলেন, একনায়কতান্ত্রিক শাসনে বিরোধী মতাবলম্বীরা গুম, খুন এবং মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে বছরের পর বছর কারাবন্দি থাকছেন।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনে দেশ এক সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। মতপ্রকাশের অধিকারসহ নাগরিক স্বাধীনতা হরণ করা হয়। সংবাদমাধ্যম ছিল কালো আইন ও শৃঙ্খলের বেড়াজালে বন্দি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছিল। এমনকি তাঁর সুচিকিৎসার পথও রুদ্ধ করেছিল সরকার।
তিনি আরও বলেন, সেই সময় দেশে এক নীরব আতঙ্ক বিরাজ করত। সরকারের সমালোচনা করলেই লেলিয়ে দেওয়া হতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মানবাধিকার ছিল পদদলিত, বিচারহীনতার সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছিল।
তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয় না। যদিও আমরা ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়েছি, কিন্তু গণতন্ত্র চর্চা ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি নির্মাণের কাজ এখনও শুরু হয়নি। এখন ‘মব জাস্টিস’ বা দলীয় প্রতিশোধের নামে একধরনের হিংস্রতা মানবতার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে, যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে গতিশীল রাখতে হবে, যেন এককেন্দ্রিক কর্তৃত্ববাদ আর ফিরে না আসে। মানবতা, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠাই একমাত্র পথ। এ লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে দৃঢ় ঐক্য বজায় রাখা জরুরি।
নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত এই দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম। প্রতিবছর ২৬ জুন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সংহতি জানানো হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই পরাধীন জাতিগুলো ক্রমান্বয়ে স্বাধীনতা অর্জন করলেও সারা বিশ্বে সহিংসতা ও সংঘাত বন্ধ হয়নি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরাসরি পারমাণবিক অ'স্ত্র পাবে ইরান!
- প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা থেকে লোকসানে গেল চার ব্যাংক
- ‘বিপর্যয় থেকে বিশ্ব মাত্র কয়েক মিনিট দূরে’
- সাত কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের পুঁজির বড় অংশ উধাও
- যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইরান
- ইরানে বড় ধ্বংসলীল : ৬ বিমানবন্দরে একযোগে হামলা
- হা'মলার পর হন্যে হয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের
- ভিডিও ফাঁস করার বিষয়ে মুখ খুলেছেন শরীয়তপুরের সেই ডিসি
- মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা; উত্তেজনা তুঙ্গে
- দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান
- একাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- শেয়ার কিনেছেন চার কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা
- মোবাইলে কল এলেই ইন্টারনেট বন্ধ? এক মিনিটেই সমাধান!