ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
হুমকির মুখে দেশের অর্থনীতি
.jpg)
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ঘিরে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে অস্থিরতা। এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন এমন বৈশ্বিক অস্থিরতায় এখনই কার্যকর প্রস্তুতি না নিলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি হুমকির মুখে পড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেম-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা একাধিক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়া, বাণিজ্যিক রুটে বিঘ্ন এবং রেমিট্যান্স প্রবাহে অনিশ্চয়তা বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলাচল ও জ্বালানির স্থিতিশীল দামের ওপর নির্ভরশীল। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং নিরাপদ বাণিজ্য রুট নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
ড. রায়হান আরও বলেন, বাংলাদেশ আমদানি-নির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থার মাধ্যমে হরমুজ প্রণালীর ওপর নির্ভরশীল যা বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ জ্বালানি পরিবহনের পথ। এই রুটে কোনো ধরনের বাধা তৈরি হলে তা বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ অর্থনৈতিক অভিঘাত তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যদি সংঘাত দীর্ঘায়িত হয় এবং হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়ে যায় তবে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৯০ থেকে ১২০ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এতে বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর অর্থনীতিগুলোর আমদানি ব্যয় হঠাৎ করেই আকাশচুম্বী হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে বিশ্ববাজারে তেলের দাম এবং পরিবহন খরচ বেড়ে গেলে আমদানি ব্যয় বাড়বে। ফলে এই রিজার্ভ দ্রুত হ্রাস পেতে পারে। এতে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে উঠবে।
এই প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিবিদরা সরকারকে দ্রুত ও বাস্তবমুখী কৌশল গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে—বিকল্প জ্বালানি উৎসের উন্নয়ন, নতুন বাণিজ্য রুটের সন্ধান এবং তৈরি পোশাক খাতকে সহায়তা দিয়ে বৈশ্বিক অস্থিরতার অভিঘাত থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
তাদের মতে, ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাস এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপে জনজীবনে সংকট তৈরি করতে পারে। এজন্য দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়া সময়ের দাবি।
তথ্য : ইউএনবি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৬৫ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- শেয়ারবাজারে চলছে বহুজাতিক কোম্পানির ডিভিডেন্ড উৎসব
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- ইপিএস প্রকাশ করার তারিখ জানাল ১৫ প্রতিষ্ঠান
- স্টক ডিভিডেন্ড পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি