ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২
নির্বাচন ইস্যুতে সবুজ সংকেত পায়নি ইসি
.jpg)
বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জোর আলোচনার মাঝে এখনো সরকার থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা না পাওয়ায় অনিশ্চয়তায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে থাকলেও প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ইসি।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ভোটের তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে এখনো সরকারের কাছ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা মেলেনি। তিনি বলেন, “ভোটের তারিখ নির্ধারণ সরকারের বিষয়। আমরা নিজেদের প্রস্তুতি নিচ্ছি কিন্তু সরকারের সিগন্যাল ছাড়া চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্ভব নয়।”
প্রস্তুতির বাধা ও আইনি জটিলতা
নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন
নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা ও পরিচালনা বিধিমালা হালনাগাদ
ভোটার তালিকা আইনের সংশোধন
রাজনৈতিক সংলাপ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম
এ ছাড়া প্রায় ২০ লাখ নতুন ভোটার ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন। তবে ভোটার তালিকার আইনি কাঠামো অনুযায়ী ২ মার্চের আগে এদের চূড়ান্তভাবে তালিকাভুক্ত করা সম্ভব নয় যদি না ভোটার তালিকা সংশোধন আইন সংশোধন করা হয়। এর ফলে এই তরুণ ভোটারদের নিয়ে নির্বাচনের সময় ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
রাজনৈতিক সংকোচ ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি
নির্বাচন কমিশনাররা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। কিছু রাজনৈতিক দল স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চায় আবার কেউ জাতীয় নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিতে বলছে। একাধিক দলের মধ্যে এখনও ঐকমত্য হয়নি।
এনসিপি, যারা তরুণ ভোটারদের প্রতিনিধিত্বের দাবি করছে, বলেছে তারা ২০ লাখ তরুণকে বাদ দিয়ে ভোট মেনে নেবে না। দলটির মতে, ভোটের আগে 'জুলাই সনদ' ঘোষণা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন জরুরি।
আরপিও ও আচরণবিধির সংশোধন ঝুলে আছে
আইন সংস্কার সংক্রান্ত কমিটি আরপিও সংশোধনের খসড়া তৈরি করলেও এখনো কমিশন সভায় তা তোলা হয়নি। রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে এই প্রক্রিয়াও থমকে আছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, “সরকার ও কমিশনের সদিচ্ছা থাকলে এখনো সময় আছে।”
প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির অগ্রগতি
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা এখনো অনুমোদিত হয়নি। তবে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) খসড়া তৈরি করেছে। অতীতে প্রশিক্ষণে ৪ মাস সময় লেগেছে। তাই এখনই চূড়ান্ত পরিকল্পনা না হলে সময় সংকট হতে পারে।
পুলিশপ্রধান বাহারুল আলম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আশ্বাস দিয়েছেন।
তথ্য: ডয়চে ভেলে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির