ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
হতাশ টিউলিপ সিদ্দিক, জানালেন বিবৃতিতে

যুক্তরাজ্যে সফররত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সাক্ষাৎ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ ঘটনায় প্রকাশ্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন টিউলিপ।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এখন আদালতের বিবেচনায় এবং তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে চান না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “না, দেখা করব না। কারণ বিষয়টি এখন বিচারাধীন। আমি চাই না এই প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটুক।”
তিনি আরও জানান, বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারভুক্ত এবং আদালতই নির্ধারণ করবে অভিযোগগুলো গ্রহণযোগ্য কি না। টিউলিপের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধপ্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। ইউনূস বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং তারা যথাযথ কাজই করছে।”
তবে সাক্ষাৎ প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় টিউলিপ সিদ্দিক এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি গভীরভাবে হতাশ। তিনি বলেন, “গুজব ও ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন ইউনূস। যদি বিষয়টি সত্যিই আইনি হতো তাহলে তারা আমার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত, ঢাকায় এমন ঠিকানায় ভুয়া কাগজ পাঠাত না যেখানে আমি কখনও থাকিনি।”
টিউলিপ আরও বলেন, “আমি একজন ব্রিটিশ নাগরিক ও নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ইউনূস সংবাদমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ানোর অভ্যাস বন্ধ করবেন—এই প্রত্যাশা করি। আমি আদালতকে প্রমাণের সুযোগ দিতে চাই যে এই তদন্তের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”
এর আগে টিউলিপের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নৈতিক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তদন্ত চালান। তদন্তে কোনো অনিয়মের প্রমাণ না পাওয়া গেলেও আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণে সম্মানহানির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের দাবি, শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে যার একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে গেছে বলে ধারণা। এই অর্থ উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, যুক্তরাজ্য সরকার তদন্তে সহায়তা করছে এবং আন্তর্জাতিক দুর্নীতি সমন্বয় কেন্দ্র (আইএসিসিসি) সম্ভাব্য সহযোগিতার দিক বিবেচনা করছে।
তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে তার কোনো বৈঠক হয়নি। এ প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, “আমি জানি না, আমি হতাশ নাকি উনি। এটা একটা সুযোগ হারানো। হয়তো বাংলাদেশে এসে তিনি বাস্তবতা বুঝতে পারবেন।” ডাউনিং স্ট্রিট থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার