ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
হতাশ টিউলিপ সিদ্দিক, জানালেন বিবৃতিতে

যুক্তরাজ্যে সফররত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সাক্ষাৎ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ ঘটনায় প্রকাশ্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন টিউলিপ।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এখন আদালতের বিবেচনায় এবং তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে চান না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “না, দেখা করব না। কারণ বিষয়টি এখন বিচারাধীন। আমি চাই না এই প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটুক।”
তিনি আরও জানান, বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারভুক্ত এবং আদালতই নির্ধারণ করবে অভিযোগগুলো গ্রহণযোগ্য কি না। টিউলিপের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধপ্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। ইউনূস বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং তারা যথাযথ কাজই করছে।”
তবে সাক্ষাৎ প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় টিউলিপ সিদ্দিক এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি গভীরভাবে হতাশ। তিনি বলেন, “গুজব ও ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন ইউনূস। যদি বিষয়টি সত্যিই আইনি হতো তাহলে তারা আমার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত, ঢাকায় এমন ঠিকানায় ভুয়া কাগজ পাঠাত না যেখানে আমি কখনও থাকিনি।”
টিউলিপ আরও বলেন, “আমি একজন ব্রিটিশ নাগরিক ও নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ইউনূস সংবাদমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ানোর অভ্যাস বন্ধ করবেন—এই প্রত্যাশা করি। আমি আদালতকে প্রমাণের সুযোগ দিতে চাই যে এই তদন্তের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”
এর আগে টিউলিপের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নৈতিক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তদন্ত চালান। তদন্তে কোনো অনিয়মের প্রমাণ না পাওয়া গেলেও আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণে সম্মানহানির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের দাবি, শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে যার একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে গেছে বলে ধারণা। এই অর্থ উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, যুক্তরাজ্য সরকার তদন্তে সহায়তা করছে এবং আন্তর্জাতিক দুর্নীতি সমন্বয় কেন্দ্র (আইএসিসিসি) সম্ভাব্য সহযোগিতার দিক বিবেচনা করছে।
তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে তার কোনো বৈঠক হয়নি। এ প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, “আমি জানি না, আমি হতাশ নাকি উনি। এটা একটা সুযোগ হারানো। হয়তো বাংলাদেশে এসে তিনি বাস্তবতা বুঝতে পারবেন।” ডাউনিং স্ট্রিট থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইরান
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- মুন্নু সিরামিকের বিনিয়োগকারীদের জন্য দারুণ সুখবর
- পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকা সত্বেও ফেসভ্যালুর নিচে ১৬ ব্যাংকের শেয়ার
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার
- আর্থিক অস্বচ্ছল দুই শিক্ষার্থীর ভর্তিতে সহযোগিতা করলেন ছাত্রদলনেতা হামিম
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি