ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

এপ্রিলে নির্বাচনের আয়োজন দুরভিসন্ধিমূলক: রাশেদ খান

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুন ০৯ ১৬:২৬:২৫
এপ্রিলে নির্বাচনের আয়োজন দুরভিসন্ধিমূলক: রাশেদ খান

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল মাসে আয়োজনের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে আওয়ামী লীগ উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

আজ সোমবার (৯ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে রাশেদ খান লেখেন, "আবহাওয়াগত কারণে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত ডিসেম্বর ও জুনের রোডম্যাপের মধ্যে অধিকাংশ দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। জামায়াতসহ আরও কয়েকটি দল রমজানের আগে চেয়েছে। বাস্তবতার নিরিখে সরকার দলগুলোর প্রত্যাশা অনুযায়ী একটা ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। কিন্তু সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অপরিণামদর্শী।"

তিনি আরও লেখেন, "দেশ ও জাতির কল্যাণে এপ্রিল বা চৈত্র মাসে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত সরকার পুনর্বিবেচনা না করলে দেশের আকাশে কালো মেঘ নেমে আসবে, যার দ্বারা উপকৃত হবে একমাত্র আওয়ামী লীগ। সরকার, রাজনৈতিক দল ও জনগণ মধ্যে যতো দূরত্ব বাড়বে, তার সমস্ত বেনিফিট পাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ।"

রাশেদ লেখেন, "এপ্রিল মাস প্রচণ্ড গরমের মাস। বাংলায় এই সময় চৈত্র মাস। চৈত্র মানেই চৌচির করা মাঠ-ঘাট, কাঠফাটা রোদ্দুর, প্রচণ্ড গরম। চৈত্রের দাবদাহে জীবন হয়ে পড়ে অতিষ্ঠ। এই সময় নির্বাচন করতে হলে ভোটকেন্দ্রে সামিয়ানা ও ফ্যানের ব্যবস্থা করা বাধ্যতামূলক। বাড়ি বাড়ি থেকে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নেওয়ার জন্য ছাদওয়ালা গাড়ির ব্যবস্থাও করতে হবে। অন্যথায় প্রচণ্ড রোদের মধ্যে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ও লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দেওয়ার আগ্রহ থাকবে না। একই সাথে এই আবহাওয়ার মধ্যে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা ও গণসংযোগও কঠিন।"

গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা আরও লেখেন, "সরকারের উপদেষ্টাদের নিশ্চয়ই বিষয়গুলো অজানা নয়। তবুও চৈত্র মাসে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করার আগ্রহ কেন তাদের? এখানে কি ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে? তারা কি এমনকিছু দেখাতে চায় যে, ভোটারশূন্য নির্বাচন? কেন বলছি এই কথা? কারণ ইতোমধ্যে নির্বাচন সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো আসনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে সেই আসনে পুনর্নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। ওই সময় আবহাওয়ার যে বাস্তবতা কাঠফাটা রোদের মধ্যে কোন আসনেই ৪০ শতাংশ ভোট পড়ার সম্ভাবনা নাই। আর বিষয়টা যদি তেমনই হয়, তার পরিণতি কি হবে, তা অনুমেয়। আর এই কারণেই বলছি, এপ্রিলে নির্বাচনের আয়োজন দুরভিসন্ধিমূলক।"

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত