ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২
এপ্রিলেই নির্বাচন কেন, ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের সময় হিসেবে আগামী এপ্রিল মাস নির্ধারণের কথা জানানো হয়। এ ঘোষণা ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এপ্রিলকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য অনুকূল সময় নয় বলে মনে করছে।
এ প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রোববার (৮ জুন) রাতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এবং নির্বাচন আয়োজনের সময় নির্ধারণের পেছনের কারণগুলো ব্যাখ্যা করেন।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন পেছনের মূল তিনটি লক্ষ্য হলো—সংস্কার, বিচার ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রস্তুতি। তিনি জানান, ইতোমধ্যে সরকার ১২ থেকে ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের রিপোর্ট আসছে এবং তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি আরও জানান, গত জুলাই-আগস্টে যে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তা নিয়ে বিচার শুরু হবে। বহু শিশু নিহত হয়েছে ওই সময়। এসব বিচার যেন আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে হয়, সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এই বিচার এবং সংস্কার কর্মসূচির জন্য সময় প্রয়োজন।
তাছাড়া, নির্বাচন যেন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য হয়, তার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতির দরকার রয়েছে। এসব কারণেই এপ্রিলের প্রথমার্ধকে উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ওই সময়ের আবহাওয়া নির্বাচনের জন্য অনুকূল নয় বলে প্রশ্ন তুলেছেন, এমন প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহে টেম্পারেচার বেশি থাকে; দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তৃতীয় সপ্তাহে বেশি। তৃতীয় সপ্তাহ থেকে চতুর্থ সপ্তাহে টেম্পারেচার বেশি থাকে। তারা বলেছেন প্রথম ১০ দিন টেম্পারেচার মোটামুটি ঠিক থাকে। এই সময়টায় এত হিট ওয়েভ থাকে না যে ইলেকশন করা যাবে না।
কালবৈশাখীর বিষয়ে তিনি বলেন, কালবৈশাখী শব্দটার মধ্যেই বৈশাখ মাস আছে। বৈশাখ মাসেই এটা বেশি হয়। আবহাওয়াবিদদরাও বলেছেন এপ্রিল মাসের প্রথম নয়টা দিন কালবৈশাখী হয়। তা-ও এটা খুব লোকালাইজড হয়, দেশব্যাপী হয় না। এটাও হয় এপ্রিল মাসের সেকেন্ড হাফে বেশি। যখন বৈশাখ মাসটা শুরু হয়ে যায়। সত্যিকার অর্থে এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধটা একটা ফ্যান্টাস্টিক টাইম।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম