ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সম্পদমূল্য কমেছে খাদ্য খাতের ১০ কোম্পানির

ডুয়া নিউজ- শেয়ারবাজার
২০২৫ জুন ০৬ ১১:৩৭:২০
সম্পদমূল্য কমেছে খাদ্য খাতের ১০ কোম্পানির

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২১টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে মার্চ’২৪ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের ২টি এবং ৩য় প্রান্তিরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ১৬টি কোম্পানি। প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য সময়ে সম্পদমূল্য কমেছে ১০ কোম্পানির। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো- এপেক্স ফুডস, বিডি থাই ফুডস, ফু-ওয়াং ফুডস, জেমিনি সি ফুডস, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, রহিমা ফুডস, আরডি ফুড, শ্যামপুর সুগার এবং জিলবাংলা সুগার।

এপেক্স ফুডস

তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১২৫ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর একই সময় এনএভিপিএস ছিল ১২৯ টাকা ২০ পয়সা।

বিডি থাই ফুডস

তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর একই সময় এনএভিপিএস ছিল ১৪ টাকা ৬১ পয়সা।

ফু-ওয়াং ফুডস

তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছর একই সময় এনএভিপিএস ছিল ২ টাকা ৪৫ পয়সা।

জেমিনি সি ফুডস

তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছর একই সময় এনএভিপিএস ছিল ২১ টাকা ৯৫ পয়সা।

গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো

তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৫০ পয়সা। আগের বছর একই সময় এনএভিপিএস ছিল ১৩ টাকা ১৩ পয়সা।

মেঘনা কনডেন্স মিল্ক

তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে মাইনাস ৭ টাকা ৩০ পয়সা। আগের বছর একই সময় এনএভিপিএস ছিল মাইনাস ৭৩ টাকা ৫৯ পয়সা।

রহিমা ফুডস

তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ১৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় এনএভিপিএস ছিল ১০ টাকা ১৪ পয়সা।

আরডি ফুড

তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ১৭ টাকা ৪৪ পয়সা। আগের বছর একই সময় এনএভিপিএস ছিল ১৮ টাকা ৮০ পয়সা।

শ্যামপুর সুগার

তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে মাইনাস ১ হাজার ২৯৮ টাকা ২১ পয়সা। আগের বছর একই সময় এনএভিপিএস ছিল মাইনাস ১ হাজার ২৪২ টাকা ৯৫ পয়সা।

জিলবাংলা সুগার

তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে মাইনাস ১ হাজার ১০২ টাকা ৫ পয়সা। আগের বছর একই সময় এনএভিপিএস ছিল মাইনাস ১ হাজার ৩৪ টাকা ১ পয়সা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সম্পদমূল্য কমে যাওয়া একটি কোম্পানির জন্য সতর্কতা সংকেত হতে পারে। এতে সাময়িকভাবে শেয়ারের দামে কিছুটা চাপ পড়তে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের মনে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে। তবে শুধু সম্পদমূল্য কমে যাওয়া দিয়েই একটি কোম্পানির সামগ্রিক চিত্র বোঝা সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি কোম্পানির মুনাফা, বিক্রয় বৃদ্ধি, তারল্য পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।

বিনিয়োগকারীদের উচিত তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে, বরং বিস্তারিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এবং বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সুচিন্তিত বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। এটি বাজারের চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও সুযোগ খুঁজে বের করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী লাভ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত