ঢাকা, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২
ষোড়শ সংশোধনী ছিল উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত, রিভিউয়ের রায় প্রকাশ
.jpg)
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক রায়ে জানিয়েছে, ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিচারকদের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করা। রায়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ক্ষমতা পুনর্বহাল করা হয়েছে, যাতে বিচারপতির অযোগ্যতা কিংবা আচরণগত লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
গত বছরের ২০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন)৫০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে উল্লেখ করা হয়, ‘পর্যবেক্ষণসহ মামলাটি নিষ্পত্তি করা হলো।’
চূড়ান্ত রায়ে বলা হয়, ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়বস্তু কী ছিল? এটি ছিল কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসকের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট প্রয়াস, যেখানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে কেড়ে নিয়ে সংসদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকেই হুমকির মুখে ফেলা হয়েছিল।
রায়ে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী মন্তব্য করেন, যদি কোনো বিচারক তার বিচারিক দায়িত্ব পালনের সময় সরকারের রোষানল কিংবা অসন্তোষের মুখোমুখি হন, তাহলে সংসদের সদস্যদের কলমের এক খোঁচায় তাকে অপসারণ করা সম্ভব, এটা কি কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মেনে নেওয়া যায়? আমার গভীর বিবেচনায় এবং সহকর্মীদের পর্যবেক্ষণ অনুসারে এর উত্তর, অত্যন্ত স্পষ্টভাবে, ‘না’।
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, বিচারপতিদের বিচারিক কার্যক্রমে রাজনৈতিক বিতর্ক এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, এ ধরনের মন্তব্য বিচারকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং তাকে কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি করতে পারে।
আদালত বলেছে, বিচারপতিদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন, কারণ এতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এই রায়কে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ আরও দৃঢ়ভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পেল। এটি দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে। পরে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ ওই রায় বহাল রাখে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন করে, যার নিষ্পত্তি হয় ২০২৪ সালের অক্টোবরে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- ‘বিপর্যয় থেকে বিশ্ব মাত্র কয়েক মিনিট দূরে’
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা থেকে লোকসানে গেল চার ব্যাংক
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- একাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া
- দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- সাত কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের পুঁজির বড় অংশ উধাও
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে ক্লাস ছুটি কতদিন, যা জানা গেল
- মোবাইলে কল এলেই ইন্টারনেট বন্ধ? এক মিনিটেই সমাধান!
- লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান