ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
‘ ড. ইউনূসের হাত দিয়ে ডাকাতরা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাচ্ছে ’
.jpg)
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট পেশ করেছে, সেটি আগের সরকারের বাজেট থেকে আদৌ আলাদা কিছু নয়। শেখ হাসিনাও যেমন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিলেন, আপনারাও একই পথ অনুসরণ করছেন। তাহলে এই সরকারের সঙ্গে আগের সরকারের পার্থক্য কী?”—জানতে চান তিনি।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের আয়োজনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এই সরকার তো অন্তর্বর্তীকালীন, এটা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত। তাহলে তার হাত দিয়ে এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত কেন আসছে, সেটাই এখন মানুষের প্রশ্ন।
রিজভী বলেন, বাজেটের ২৩ শতাংশ বরাদ্দ যাবে শুধু প্রশাসনের বেতন-ভাতা খাতে, আর ১৪ শতাংশ সুদ পরিশোধে। তাহলে গরিব মানুষের জন্য কী থাকল? লাভের গুড় তো পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলছে—জনগণের জন্য কী অবশিষ্ট থাকল?
স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কম নিয়ে ক্ষোভ
বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এই দুই খাতে বরাদ্দ দরকার সবচেয়ে বেশি। অথচ বাজেটে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেখার দায়িত্ব তো সরকারেরই। ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার আগে দরিদ্র বিমোচনের কথা বলেছিলেন, আজ তিনি নিজেই ক্ষমতায় কিন্তু তার হাত দিয়ে লুটেরা, ব্যাংক ডাকাতরা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাচ্ছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি এই বাজেটে গরিব মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত না হয়, তাহলে যে গণআন্দোলন, আত্মত্যাগ আমরা গত ১৫ বছর ধরে করেছি, তার মূল্য কোথায়? ছাত্র-জনতা যে জীবন দিয়েছে, তার প্রেরণায় তো শেখ হাসিনাকে বিদায় নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
রিজভীর অভিযোগ, এই বাজেট আরও বেশি করে দরিদ্রকে দরিদ্র করবে এবং মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর চাপ বাড়াবে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার কোনো কার্যকর প্রস্তাবও বাজেটে নেই।
সরকারের বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতা হরণের অভিযোগ
সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার আমলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও কালাকানুন আর দমননীতি ছিল। যারা কিছু বলতেন, তাদের ঠিকানা হতো কারাগারে। এর সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল বিএনপির শাসনামল তখন মানুষ মুক্তভাবে মতপ্রকাশ করতে পারতো।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি-ই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা প্রকৃত গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: এক কোম্পানির শেয়ার কিনলেন উদ্যোক্তারা
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- বড় আন্দোলনে নামছে ৩ 'দল'
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- মুনাফা বেড়েছে বিবিধ খাতের ৬ কোম্পানির
- মোবাইল কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে বিশেষ প্রণোদনা
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃ'ত্যু ৬
- ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ওষুধ খাতের ১৩ কোম্পানির
- ফেসবুক কমেন্টকে কেন্দ্র করে ঢাবি ছাত্রের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- বস্ত্র খাতে মুনাফা বেড়েছে ২০ কোম্পানির