ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
‘ ড. ইউনূসের হাত দিয়ে ডাকাতরা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাচ্ছে ’
.jpg)
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট পেশ করেছে, সেটি আগের সরকারের বাজেট থেকে আদৌ আলাদা কিছু নয়। শেখ হাসিনাও যেমন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিলেন, আপনারাও একই পথ অনুসরণ করছেন। তাহলে এই সরকারের সঙ্গে আগের সরকারের পার্থক্য কী?”—জানতে চান তিনি।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের আয়োজনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এই সরকার তো অন্তর্বর্তীকালীন, এটা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত। তাহলে তার হাত দিয়ে এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত কেন আসছে, সেটাই এখন মানুষের প্রশ্ন।
রিজভী বলেন, বাজেটের ২৩ শতাংশ বরাদ্দ যাবে শুধু প্রশাসনের বেতন-ভাতা খাতে, আর ১৪ শতাংশ সুদ পরিশোধে। তাহলে গরিব মানুষের জন্য কী থাকল? লাভের গুড় তো পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলছে—জনগণের জন্য কী অবশিষ্ট থাকল?
স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কম নিয়ে ক্ষোভ
বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এই দুই খাতে বরাদ্দ দরকার সবচেয়ে বেশি। অথচ বাজেটে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেখার দায়িত্ব তো সরকারেরই। ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার আগে দরিদ্র বিমোচনের কথা বলেছিলেন, আজ তিনি নিজেই ক্ষমতায় কিন্তু তার হাত দিয়ে লুটেরা, ব্যাংক ডাকাতরা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাচ্ছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি এই বাজেটে গরিব মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত না হয়, তাহলে যে গণআন্দোলন, আত্মত্যাগ আমরা গত ১৫ বছর ধরে করেছি, তার মূল্য কোথায়? ছাত্র-জনতা যে জীবন দিয়েছে, তার প্রেরণায় তো শেখ হাসিনাকে বিদায় নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
রিজভীর অভিযোগ, এই বাজেট আরও বেশি করে দরিদ্রকে দরিদ্র করবে এবং মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর চাপ বাড়াবে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার কোনো কার্যকর প্রস্তাবও বাজেটে নেই।
সরকারের বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতা হরণের অভিযোগ
সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার আমলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও কালাকানুন আর দমননীতি ছিল। যারা কিছু বলতেন, তাদের ঠিকানা হতো কারাগারে। এর সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল বিএনপির শাসনামল তখন মানুষ মুক্তভাবে মতপ্রকাশ করতে পারতো।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি-ই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা প্রকৃত গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার