ঢাকা, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
৮ নদীর পানি বাড়ার শঙ্কা, বন্যার ঝুঁকিতে যেসব জেলা
.jpg)
টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে উপকূল ও পার্বত্য এলাকার মানুষ। বিশেষ করে সিলেট বিভাগের চার জেলা, তিন পার্বত্য জেলা, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লালমনিরহাটে নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা এবং মৌলভীবাজারের মনু নদী বিপৎসীমার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে এসব অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (৩ জুন) নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে এবং বুধবার (৪ জুন) সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। একই সঙ্গে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার নদীবর্তী নিচু এলাকাগুলোতেও বন্যা দেখা দিতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের নদীগুলো—সুরমা, কুশিয়ারা, মনু ও খোয়াই নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া সারি, গোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই ও সোমেশ্বরী নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতলও বাড়ছে। এসব নদীর পানি সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে এবং একদিন পর থেকে কিছুটা কমে যেতে পারে।
এছাড়া ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানির স্তর ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে এখনো তা বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। আগামী চার দিন পানির স্তর বাড়তে পারে তবে বিপদসীমা অতিক্রম করবে না বলেই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল এবং পদ্মা নদীর পানি কিছুটা কমছে। আগামী পাঁচ দিন গঙ্গার পানি অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং পদ্মার পানি কিছুটা বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচে থাকবে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারে পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। ইতোমধ্যে রাঙামাটির কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ফলে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে পানিবন্দি মানুষদের জন্য ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। বান্দরবানের লামায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর দুই তীরে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- লাইভে এসে হিরো আলমের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শিক্ষা ক্যাডারে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস সার্কুলার প্রকাশে পিএসসির চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- ঘুরে দাঁড়ানোর পথে দেশের শেয়ারবাজার: দৃশ্যমান হচ্ছে ইতিবাচক পদক্ষেপ
- ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি!
- মৌসুমী-হাসান জাহাঙ্গীরের বিয়ে: ওমর সানীর ‘জুতাপেটা’র হুমকি
- ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে দুই কোম্পানি
- ছাত্রদল সভাপতির পদ হারিয়েছেন রাকিব! যা জানা গেল
- মূলধন বাড়াতে রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত