ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২
৮ নদীর পানি বাড়ার শঙ্কা, বন্যার ঝুঁকিতে যেসব জেলা
.jpg)
টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে উপকূল ও পার্বত্য এলাকার মানুষ। বিশেষ করে সিলেট বিভাগের চার জেলা, তিন পার্বত্য জেলা, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লালমনিরহাটে নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা এবং মৌলভীবাজারের মনু নদী বিপৎসীমার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে এসব অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (৩ জুন) নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে এবং বুধবার (৪ জুন) সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। একই সঙ্গে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার নদীবর্তী নিচু এলাকাগুলোতেও বন্যা দেখা দিতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের নদীগুলো—সুরমা, কুশিয়ারা, মনু ও খোয়াই নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া সারি, গোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই ও সোমেশ্বরী নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতলও বাড়ছে। এসব নদীর পানি সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে এবং একদিন পর থেকে কিছুটা কমে যেতে পারে।
এছাড়া ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানির স্তর ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে এখনো তা বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। আগামী চার দিন পানির স্তর বাড়তে পারে তবে বিপদসীমা অতিক্রম করবে না বলেই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল এবং পদ্মা নদীর পানি কিছুটা কমছে। আগামী পাঁচ দিন গঙ্গার পানি অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং পদ্মার পানি কিছুটা বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচে থাকবে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারে পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। ইতোমধ্যে রাঙামাটির কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ফলে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে পানিবন্দি মানুষদের জন্য ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। বান্দরবানের লামায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর দুই তীরে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- বহুজাতিক কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রত্যাবর্তন
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১২ কোম্পানি
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- শেয়ারবাজারে চমক দেখাল দুই বহুজাতিক কোম্পানি
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ বাজার থেকে বাদ পড়তে পারে বাংলাদেশ
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৪ কোম্পানি