ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২
ডিএসইর চোখে বাজেট শেয়ারবাজারবান্ধব

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে 'শেয়ারবাজারবান্ধব' বলে অভিহিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (ডিএসই)। ডিএসই'র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম মনে করছেন, বাজেটের বিভিন্ন প্রস্তাব শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সোমবার (০২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন।
ডিএসই সংবাদপত্রে পাঠানো প্রাথমিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এই অভিমত তুলে ধরেছে। ডিএসই'র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলো শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন:
ডিএসই বলেছে, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করহারের ব্যবধান বৃদ্ধির প্রস্তাব কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করবে; মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার হ্রাস প্রস্তাব মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে এবং লেনদেনের উপর উৎসে কর হ্রাস প্রস্তাব ব্রোকারহাউজগুলোর জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে এবং লেনদেন বাড়াতে সহায়ক হবে।
ডিএসইর বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টের উপর ধার্য অ্যানুয়াল মেইনটেন্যান্স ফি ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করেছে। পাশাপাশি, সিসি অ্যাকাউন্টে অর্জিত সুদের ২৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ব্যয়ের জন্য ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ডে জমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এছাড়াও, বিগত ৪ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত কোম্পানি হতে অর্জিত ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূলধনী আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত রাখার বিধান অব্যাহত রেখেছে। ৫০ লক্ষ টাকার উপরে মূলধনী আয়ের উপর কর ১৫ শতাংশে হ্রাস করা হয়েছে। ডিএসই চেয়ারম্যান মন্তব্য করেন যে, শেয়ারবাজার উন্নয়নে সরকারের এসব নীতিমালা তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক।
বাজেট প্রস্তাবনায় সরকারের মালিকানাধীন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে সরকারের শেয়ার কমিয়ে শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তকরণ এবং বেসরকারি খাতের দেশীয় বড় কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে প্রণোদনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে বলে ডিএসই'র চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডিএসই বিশ্বাস করে, শেয়ারবাজারকে ঘিরে সরকারের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেশের ক্রমবিকাশমান শেয়ারবাজার দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী ও টেকসই হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও দক্ষতাকে পুঁজি করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই শেয়ারবাজার গড়ে তোলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা