ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
শেয়ারবাজারে প্রাণ ফেরাতে নতুন পদক্ষেপ: আসছে করপোরেট কর ছাড়

দেশের শেয়ারবাজারে প্রাণ ফেরাতে আসছে নতুন বাজেট। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার (০২ জুন) পেশ করা হবে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। বাজেটে শেয়ারবাজারের ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য বেশ কিছু সুখবর আসতে পারে। পাশাপাশি ভালো কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্পোরেট করের ব্যবধান বাড়ানোর প্রস্তাবও থাকছে।
ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য কর সুবিধা
শেয়ারবাজারে লেনদেন ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে লেনদেনের ওপর উৎস অগ্রিম কর বর্তমান ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০৩ শতাংশ করা হতে পারে। এটি ব্রোকারেজ হাউসগুলোর জন্য একটি বড় স্বস্তি বয়ে আনবে, যা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) দীর্ঘদিন ধরে এই কর কমানোর জন্য চাপ দিয়ে আসছিল।
এ বিষয়ে ডিবিএ সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম মনে করেন, এই পদক্ষেপ অনেক ব্রোকারেজ হাউসকে টিকে থাকতে সাহায্য করবে। কারণ বর্তমানে বেশিরভাগ ব্রোকারেজ হাউস লোকসানে রয়েছে। তিনি জানান, শেয়ার লেনদেনের ওপর চার্জ ধরা হয় বলে লোকসানে থাকা সত্ত্বেও এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর দিতে হচ্ছে। এই কর কমানোর ফলে মূলত অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারেজ হাউসগুলো উপকৃত হবে।
অন্যদিকে, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর কর্পোরেট কর হার বিদ্যমান ৩৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আসতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মাজেদা খাতুন বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম প্রচলিত ধারার ব্যাংক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন হলেও তাদের একই হারে কর দিতে হয়। তার মতে, কর্পোরেট কর কমানো হলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো গবেষণা ও অ্যাডভোকেসিতে বেশি খরচ করতে পারবে, যা বিপুল সংখ্যক ভালো প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে আনতে সহায়তা করবে। বিএমবিএ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ওপর আরোপিত কর্পোরেট কর ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
তালিকাভুক্তির উৎসাহ দিতে কর ব্যবধান বৃদ্ধি
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্পোরেট করের ব্যবধান পাঁচ শতাংশ পয়েন্ট থেকে বাড়িয়ে সাড়ে সাত শতাংশ পয়েন্ট করা হতে পারে। এই প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য হলো ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করা।
প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্পোরেট কর হার ২২.৫ শতাংশ রাখা হচ্ছে। যদি তাদের পুরো আয় ব্যাংকের মাধ্যমে হয়, তাহলে সুদের হার হবে ২০ শতাংশ। অন্যদিকে, শেয়ারবাজারে তালিকাবহির্ভূত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্পোরেট কর হবে ২৭.৫ শতাংশ। তবে ২০২৬-২৭ এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে শর্তসাপেক্ষে এটি কমানো হবে না। চলতি অর্থবছরে এই হার ২৭.৫ শতাংশ। দুটি শর্তে এটি ২৫ শতাংশ হতে পারে: যদি প্রতিষ্ঠানগুলো পাঁচ লাখ টাকার বেশি আয় করে এবং তাদের সব খরচ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো দেশের শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- লাইভে এসে হিরো আলমের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- শিক্ষা ক্যাডারে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস সার্কুলার প্রকাশে পিএসসির চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি
- ঘুরে দাঁড়ানোর পথে দেশের শেয়ারবাজার: দৃশ্যমান হচ্ছে ইতিবাচক পদক্ষেপ
- ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি!
- ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে দুই কোম্পানি