ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাংলাদেশের বাজার দেখে মুগ্ধ চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী, বিনিয়োগে আগ্রহ

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুন ০১ ২৩:৩১:১৯
বাংলাদেশের বাজার দেখে মুগ্ধ চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী, বিনিয়োগে আগ্রহ

কৃষি, পাট, সামুদ্রিক মৎস্য এবং গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন।

রোববার (১ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও।

ওয়েনতাও বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আমার সঙ্গে থাকা চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।” তিনি জানান, বাংলাদেশের রাতের বাজার ও ভোক্তা পরিবেশ দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন এবং মনে করেন ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জানান, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল, কৃষি ও মৎস্য খাতে এখনো বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, “চীনের সহায়তায় প্রতিটি গ্রামকে উৎপাদন ইউনিটে পরিণত করা সম্ভব।”

চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “কৃষি শুধু একটি খাত নয়, এটি একটি সামাজিক কাঠামোরও অংশ।” তিনি জল সংরক্ষণ, কৃষি প্রযুক্তি এবং চাষাবাদ উন্নয়নে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে সামুদ্রিক মাছ চাষে চীনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের কাজে লাগাতে চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পাট খাতেও যৌথভাবে কাজের সম্ভাবনা তুলে ধরেন ওয়েনতাও। তিনি জানান, চীন প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ কোটি ডলারের পাট আমদানি করে, যা মোট রপ্তানির ১০ শতাংশ। গবেষণা ও পণ্য বৈচিত্র্যের মাধ্যমে এই পরিমাণ আরও বাড়ানো সম্ভব বলেও মত দেন তিনি।

চীনা প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে পাট পণ্যের গবেষণা শুরু করার কথাও জানানো হয়। ওয়েনতাও বলেন, “এই সহযোগিতা কেবল ব্যবসায়িক নয়, গবেষণাভিত্তিকও হওয়া উচিত। বাংলাদেশ যদি গবেষণায় যুক্ত হয়, তাহলে পাট এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের পাট শিল্প ডিজাইন ও উদ্ভাবনে এগিয়ে যাচ্ছে, এবং চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে এটি আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তিনি চীনা মন্ত্রীর আন্তরিকতা ও বিনিয়োগবান্ধব অবস্থানের প্রশংসা করেন।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা তার সাম্প্রতিক চীন সফরের কথা স্মরণ করেন, যেখানে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। তিনি বলেন, “চীনের বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক বার্তা।”

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত