ঢাকা, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
.jpg)
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলার আরেক আসামি, অভ্যুত্থানের সময় দায়িত্বে থাকা তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আগামী ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আদেশের মধ্য দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো কোনো মামলার বিচার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো।
রোববার (১ জুন) দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ বিচারকাজ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য প্রসিকিউটররাও।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে ‘মাস্টারমাইন্ড’ ও ‘সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে, যিনি রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ড্রোন, হেলিকপ্টার, এপিসি এবং ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের নির্মূলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরাসরি হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন এবং গুলি করে পঙ্গু করার নির্দেশ দিয়েছেন। এসব অভিযোগের পক্ষে কলরেকর্ড, ভিডিও ফুটেজ, উদ্ধার করা বুলেট, হেলিকপ্টারের ফ্লাইট শিডিউলসহ একাধিক আলামত রয়েছে। তদন্ত সংস্থা গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়।
প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে, পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে প্রথমটি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উসকানি ও প্ররোচনার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ; দ্বিতীয়টি সরাসরি গুলির নির্দেশের অভিযোগ এবং বাকি তিনটি নির্দিষ্ট ঘটনার ভিত্তিতে আনা হয়েছে।
সাক্ষী হিসেবে আনা হচ্ছে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসক, আহত ব্যক্তিরা, শহীদ পরিবারের স্বজন, যারা দাফন কার্য সম্পন্ন করেছেন। আলামত হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে কলরেকর্ড, ভিডিও ফুটেজ, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং উদ্ধারকৃত বুলেট।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- সরাসরি পারমাণবিক অ'স্ত্র পাবে ইরান!
- ‘বিপর্যয় থেকে বিশ্ব মাত্র কয়েক মিনিট দূরে’
- প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা থেকে লোকসানে গেল চার ব্যাংক
- সাত কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের পুঁজির বড় অংশ উধাও
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- ভিডিও ফাঁস করার বিষয়ে মুখ খুলেছেন শরীয়তপুরের সেই ডিসি
- দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান
- একাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া
- শেয়ার কিনেছেন চার কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা
- মোবাইলে কল এলেই ইন্টারনেট বন্ধ? এক মিনিটেই সমাধান!
- ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে ক্লাস ছুটি কতদিন, যা জানা গেল
- লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান