ঢাকা, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
এশিয়াজুড়ে কোভিড ফের বাড়ছে, সতর্কতা জারি
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: কোভিড-১৯ সংক্রমণ ফের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। হংকং, সিঙ্গাপুর, চীন এবং থাইল্যান্ডের মতো জনবহুল শহর ও অঞ্চলগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রমণের এই নতুন ঢেউয়ের পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে ওমিক্রনের উপ-ভেরিয়েন্ট জেএন.ওয়ান।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হংকংয়ের স্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার ফর হেলথ প্রোটেকশন জানিয়েছে, শহরে ভাইরাসের কার্যকলাপ বর্তমানে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্বাস যন্ত্রের নমুনায় কোভিড পজিটিভের হার গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ৩ মে পর্যন্ত সপ্তাহে ৩১ জন গুরুতর কেস শনাক্ত হয়েছে যা গত ১২ মাসের মধ্যে সর্বাধিক।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩ মে পর্যন্ত সপ্তাহে সংক্রমণ ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ১৪,২০০ তে। হাসপাতাল ভর্তির সংখ্যাও বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। দেশটি গত এক বছরে প্রথমবারের মতো বিশদভাবে সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তবে মন্ত্রণালয় বলেছে, কোনও প্রমাণ নেই যে প্রচলিত রূপগুলো অতীতের তুলনায় বেশি সংক্রমণযোগ্য বা মারাত্মক।
থাইল্যান্ডে, ১৭ মে পর্যন্ত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩,০৩০, যা আগের সপ্তাহের ১৬,০০০ থেকে দ্বিগুণের বেশি। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে রাজধানী ব্যাংককে (৬,২৯০), এরপর রয়েছে চোন বুরি, রায়ং ও নন্থাবুরি। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ৩০-৩৯ বছর বয়সী।
চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানিয়েছে, ৩১ মার্চ থেকে ৪ মে পর্যন্ত বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে কোভিড-১৯ শনাক্তের হার ৭.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.২ শতাংশে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পজিটিভিটি হার ৩.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬.৩ শতাংশ হয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ২৫৭ জন সক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছেন। যদিও প্রাদুর্ভাবের কোনও বড় লক্ষণ নেই, তবে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জেএন.ওয়ান ভ্যারিয়েন্টকে “ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট” হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যদিও এটি এখনও “ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন” নয়, তবে এর উচ্চ সংক্রমণক্ষমতার সম্ভাবনার কারণে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্ট গুরুতর অসুস্থতার জন্য দায়ী এমন কোনও নিশ্চিত প্রমাণ নেই।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিও হিসাবে ৫ লাখ টাকা নগদ জমা ও উত্তোলনের কথা ভাবছে বিএসইসি
- সরকারি কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ, তালিকায় ২১ প্রতিষ্ঠান
- ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউজের নিবন্ধন বাতিল করল বিএসইসি
- বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন অর্থ উপদেষ্টা
- ‘এলাম পরামর্শ নিতে, পেলাম পদত্যাগের বার্তা’- বিএসইসি চেয়ারম্যানের ক্ষোভ
- মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও পাবলিক রুলস ইস্যুতে টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত সুপারিশ
- দশ হাজার কোটি ঋণের বোঝায় আইসিবি, প্রস্তাব বিশেষ তহবিলের
- দুর্বল ৬ শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের হতাশা আরও বেড়েছে
- ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংক এমডিবিহীন, নেতৃত্ব সংকট তীব্র
- ঢাকা অচলের ঘোষণা
- তিন কোম্পানির বোনাস ডিভিডেন্ডে বিএসইসির সম্মতি
- লোকসান থেকে মুনাফায় বস্ত্র খাতের চার কোম্পানি
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- শেয়ারবাজারে ৬১৭টি বিও হিসাব স্থগিত