ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২
জবি শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের ঘোষণা

ডুয়া নিউজ: তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসানসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতারা একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার এই ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘মার যখন খেয়েছি, মার আরও খাবো; অধিকার আদায় না করে ক্যাম্পাসে ফিরবো না।’
জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে সক্রিয় সব সংগঠন রয়েছে। রাস্তায় এসেছি বলেই এখান থেকেই দাবির ফয়সালা হবে।’
ছাত্রশিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দাবি ন্যায্য। আমরা যমুনা ভবনে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাতে গেলে পুলিশ নির্দয়ভাবে হামলা চালায়। অনেকে এখনো হাসপাতালে ভর্তি। তাই আমরা রাজপথেই থাকব।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রাকিব বলেন, ‘রাজপথে নেমেছি, অধিকার আদায় না করে ফিরব না। আমাদের আন্দোলন চলবে।’
একই কথা বলেন শিক্ষার্থী শাহীন আহমেদও। তার ভাষায়, ‘ক্যাম্পাস ছেড়ে এসেছি, দাবি পূরণ না হলে ফিরব না। প্রয়োজনে আরও এক সপ্তাহ রাস্তায় থাকব।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাতভর রাস্তায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন এবং ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মঞ্জুর মোর্শেদ ভুইয়া রাত ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অবস্থান করেন। এছাড়া রাত ২টা পর্যন্ত প্রক্টরসহ অন্য শিক্ষকরা আন্দোলনস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক মোশাররফ বলেন, ‘আমার শিক্ষার্থীরা রাস্তায় থাকলে আমি কীভাবে ঘরে থাকি? তাদের দাবি ন্যায্য, তাই আমরা আছি।’
জবি শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো:
১. ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাঁট না করে অনুমোদন দিতে হবে।
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
বুধবার সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশে শিক্ষার্থীরা লংমার্চ শুরু করে। মৎস্য ভবন হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে লাঠিচার্জে বহু শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হন।
রাতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অবগত হয়েছেন এবং সমাধানে সরকার আলোচনায় বসবে।
তবে উপদেষ্টার বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখনো তারা কাকরাইল মসজিদের সামনের রাস্তায় অবস্থান করছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- শেয়ারবাজারে হঠাৎ দরপতন, নেপথ্যে এনবিআরের চিঠি
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান