ঢাকা, সোমবার, ২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ঈদে যাত্রীপ্রতি অতিরিক্ত ২০০ টাকা ভাড়া চান বাস মালিকরা
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: আসন্ন ঈদুল আজহায় যাত্রীপ্রতি ২০০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া চান বাস মালিকরা। ঈদের সময় যাত্রীর গন্তব্য থাকে একমুখী। ফলে ফিরতি ট্রিপে মালিকদের বাস চালাতে লোকসান হয়। তাই এই দাবি বাস মালিকদের। তবে এমন দাবি শুনে অবাক হয়েছেন বাসযাত্রী, যাত্রী কল্যাণ সমিতি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আজ সোমবার (১২ মে) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ঈদ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অংশীজন সভায় বাড়তি ভাড়ার দাবি জানান বাস মালিকরা। সাধারণ যাত্রীরা এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব এর বিরোধিতা করেন।
সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম বলেন, “অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়ার বিষয়ে প্রতিটি টার্মিনালে মালিক, শ্রমিক সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু প্রকৃত বিষয় হলো— ঈদে একমুখী যাত্রী হয়ে যায়। আমাদের হিসাব হচ্ছে বাসে যদি ৭৫ শতাংশ যাত্রী হয়, সেক্ষেত্রে ১০ শতাংশ লাভ হয়। কিন্তু ফেরার পথে ২৫ শতাংশ যাত্রী হলেও তাতে লস হয়। এ কারণে সব নির্দেশনা দেওয়ার পরও ওই সময়ে এই কাজ (অতিরিক্ত ভাড়া আদায়) করা হয়ে থাকে। যেমন- একমুখী যাত্রার বিষয়ে বিমান বেশি ভাড়া নিয়ে খরচ পুষিয়ে থাকে। আমরা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব দিয়েছি ঈদের বিশেষ দিনগুলোতে যদি বাড়তি ভাড়া ধরে দেওয়া যায় তাহলে এটি রোধ করা সম্ভব হবে।”
এমন সময় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে সড়ক উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে জানানো হয়, “গত ঈদুল ফিতরে পর্যবেক্ষণে আমরা দেখেছি কোন পরিবহন, কত টাকা ভাড়া নিয়েছে। আমাদের কাছে সেগুলোর লিস্ট আছে। আপনি চাইলে সেগুলো সরবরাহ করতে পারব। আমরা দেখেছি, নন-এসি বাসের ক্ষেত্রে ১০-৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে পরিবহনগুলো। ভাড়ার চার্টের সঙ্গে আমরা তুলনা করেছি। কিন্তু এসি বাসের ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা না থাকায় এটার কোন বাধ ছিলো ন। আমরা দেখেছি এসি বাসে ৫০-১০০ শতাংশ ভাড়া তারা বেশি নিয়েছে।”
পরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি এম এ বাতেন বলেন, “আমরা চেয়েছি ঈদের আগে ৭ দিন ও ঈদের পরে ৭ দিন যাত্রীপ্রতি ২০০ টাকা। স্থায়ী ভাড়া বৃদ্ধির কোনো বিষয় এখানে রাখি নাই। কোনো বাস যদি ঢাকা থেকে যাত্রী বোঝাই করে খুলনা নিয়ে যায়, তবে আসার সময় একজন যাত্রীকেও আনতে পারে না। সেক্ষেত্রে যদি আমাদের এমন লস দিতে হয়, তাহলে একটি বাস ঈদের আগে যাবে এবং ঈদের পরে ছাড়া আসতে পারবে না। যদি এটি কনসিডার করা না হয়।”
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহসহ অনেক রুটে ঈদের সময়ও উভয়মুখী যাত্রী হয়। এ বিষয়ে একটি সমীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি।”
এ বিষয়ে সাধারণ যাত্রী মো. রিপন মিয়া বলেন, “আমাদের এমনি ঈদের সময় বাস মালিকরা জিম্মি করে। এই ২০০ টাকা যদি আরও বাড়ায় তবে সেটি জুলুম হয়ে যাবে। এটা আমাদের প্রতি অন্যায় হবে। দিন দিন আমরা সবকিছুতেই হেনস্তা হচ্ছি। এটা কেন হবে?”
তবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “ভাড়ার বিষয়টি আমরা পরে দেখব।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি!
- ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে দুই কোম্পানি