ঢাকা, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

এবার ফেঁসে যাচ্ছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা

২০২৫ মে ১২ ১০:০২:৪৮
এবার ফেঁসে যাচ্ছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা

ডুয়া ডেস্ক: জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমনে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশজুড়ে চলা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে মাঠে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের নাম জানতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

তদন্তের স্বার্থে শহিদ ও আহতদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা। ইতোমধ্যে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার ডিসিদের কাছে ম্যাজিস্ট্রেটদের নাম, মোবাইল নম্বর, দায়িত্বরত স্থান ও সময়, এবং সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর (পুলিশ/র‌্যাব/বিজিবি/সেনাবাহিনী) তথ্য চেয়ে ছক মোতাবেক প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।

তদন্ত সংস্থার উপসহকারী পরিচালক আহমেদ নাসির উদ্দিন মোহাম্মদ জানান, নির্দিষ্ট এলাকাগুলোতে সংঘটিত অপরাধ তদন্তে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এ তথ্য প্রয়োজন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটরা সাক্ষী হিসেবেও কাজ করতে পারেন বলে তিনি জানান।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এই উদ্যোগকে “সময়োপযোগী ও আইনগতভাবে সঠিক” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে, কারা আদেশ দিয়েছেন, কারা তা বাস্তবায়ন করেছেন এবং কোথায় কী ঘটেছে—সবকিছু নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখা জরুরি।

চিঠিতে উল্লেখ আছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে তদন্তাধীন ডায়েরির (ডায়েরি নং ১৫৫, ০৪, ২৮, ১০৯, ১৫৯, ১১০) আলোকে এই তথ্য চাওয়া হয়েছে। ৬ এপ্রিল জারিকৃত এ চিঠিতে তদন্ত কর্মকর্তা আহমেদ নাসির উদ্দিন মোহাম্মদের স্বাক্ষর রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন মাত্র ৩৬ দিনে সরকার পতনে রূপ নেয়। আন্দোলনে প্রাণ হারান ৮৭৫ জন, আহত হন ৩০ হাজারের বেশি। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয়।

হাইকোর্ট বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে নতুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। সদস্য হিসেবে আছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালও গঠন করা হয়েছে।

প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত ৩৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৩৯টির তদন্ত চলছে, ২২টি ‘মিস কেস’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৭০ জন বেসামরিক, ৬২ জন পুলিশ এবং ৯ জন সামরিক সদস্য। গ্রেফতার আছেন ৫৪ জন, আর পলাতক ৮৭ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে।

তথ্য: যুগান্তর

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে