ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
সাগর-রুনি হত্যা মামলায় নতুন মোড়

ডুয়া ডেস্ক : সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি আত্মহত্যা করেনি, বরং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল তাদের। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে টাস্কফোর্সের তদন্ত প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল অন্তত দু’জন। তবে হত্যাকারীদের সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা যাচ্ছে না ডিএনএ নমুনার অস্পষ্টতার কারণে। সম্প্রতি গণমাধ্যমের কাছে এসেছে এই তদন্ত প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যার পেছনে দাম্পত্য কলহ, চুরি কিংবা পেশাগত কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। ভিসেরা রিপোর্টেও চেতনানাশক বা বিষাক্ত উপাদানের অস্তিত্ব মেলেনি। রান্নাঘরে থাকা ছুরি ও বটি দিয়েই নির্মমভাবে হত্যা করা হয় সাগর ও রুনিকে। তারা দু’জনই গুরুতর আহত অবস্থায় কিছু সময় জীবিত ছিলেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির রাতে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর টাস্কফোর্সের ওপর ন্যস্ত করা হয়। পরে নতুন করে ৭ জন সাংবাদিকসহ মোট ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত দল।
সম্প্রতি জমা দেয়া সংস্থাটির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে খুন হন সাগর-রুনি। এছাড়া ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি জানায়, প্রথমে সাগর ও পরে ছুরিকাঘাত করা হয় রুনিকে। হত্যার আগে সন্তান মেঘকে নিয়ে একই খাটে শুয়ে ছিলেন তারা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হত্যায় সাগর বাধা দিতে পারে- এমন ধারণায় তার হাত-পা বাঁধা হয়। রুনি নারী হিসেবে দুর্বল চিন্তা করে তার হাত-পা বাঁধার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়নি। ‘ব্ল্যাড পেটার্ন’ পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করা হয়, আগে মারা গেছেন রুনি। আর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করে সমীকরণ মিলিয়ে টাস্কফোর্স বলছে, সাগরের মৃত্যু হয়েছে পরে।
গত ২২ এপ্রিল হাইকোর্টে দাখিল করা টাস্কফোর্সের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাগর-রুনি দম্পতি হত্যাকাণ্ডের পরদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। কিন্তু তার আগেই সাংবাদিক ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে পায়ের ছাপে নষ্ট হয়ে যায় বহু গুরুত্বপূর্ণ আলামত।
তদন্তে উঠে এসেছে, রান্নাঘরের সংলগ্ন বারান্দার একটি অংশ—সাড়ে ১৪ ইঞ্চি ও সাড়ে ৮ ইঞ্চি মাপের একটি ভাঙা অংশ—সম্পূর্ণ নতুন ছিল। এই পথ দিয়ে সহজেই কেউ ভেতরে ঢুকতে বা বের হতে পারে, তবে সেখানে কোনো পূর্ণাঙ্গ পায়ের ছাপ মেলেনি।
অন্যদিকে সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে ডিএনএ নমুনা বিশ্লেষণ করে টাস্কফোর্স জানায়, যদি দুটি বা তিনটি ডিএনএ মিলে থাকে, তবে শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু সাগর-রুনি হত্যার নমুনায় অন্তত পাঁচ থেকে ছয়জনের ডিএনএ মেলায়, তা বিশ্লেষণে যথাযথ ফল পাওয়া যায়নি।
তদন্তের অংশ হিসেবে মেহেরুন রুনির অফিসিয়াল নথিপত্র খতিয়ে দেখে কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতার প্রমাণ মেলেনি। আলোচিত বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড বিষয়ে রুনির করা রিপোর্ট বা সাগরের পরিচালিত এনার্জি বাংলা ডটকমে প্রকাশিত কোনো সংবাদের সঙ্গেও হত্যাকাণ্ডের পেশাগত সম্পর্ক খুঁজে পায়নি টাস্কফোর্স।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- উৎপাদন বাড়াতে নতুন যন্ত্রপাতিতে বিনিয়োগ করছে দুই কোম্পানি