ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে অশান্তির ছক, দুই ‘বিজেপি কর্মী’ গ্রেপ্তার

ডুয়া ডেস্ক: কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে সিন্ধু চুক্তি বাতিলসহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
এদিকে এই হামলার পর থেকেই ভারতের মুসলমানদের ওপর নেমে এসেছে অত্যাচার। কাশ্মীরে ১৫০০ এর অধিক মুসলিমকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের তথ্যও উঠে এসেছে। এছাড়াও কাশ্মীরে সন্দেহভাজন মুসলিমদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে সরকার। কাশ্মীরের বাইরে অন্যান্য রাজ্যেও মুসলমানদের বিরুদ্ধে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি কর্ণাটকে খেলায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়েছেন, এমন অভিযোগে এক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এবার পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা বাড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার আকাইপুরে একটি শৌচাগারে পাকিস্তানের পতাকা লাগানোর সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, চন্দন মালাকার ও প্রজ্ঞজিত মণ্ডল। তারা আকাইপুরেরই বাসিন্দা এবং সনাতনী একতা মঞ্চের সদস্য।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে এলাকায় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তারা। শুধুই তা-ই নয়, পাকিস্তানি পতাকার নীচে ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ’ এবং ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ লেখার উদ্দেশ্যেও ছিল তাদের। কিন্তু তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেলেন ওই দুই অভিযুক্ত। দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ জেলার গোপালনগর থানা পুলিশ।’
বনগাঁ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, “দুই ব্যক্তি পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে ভারতবিদ্বেষী স্লোগান তোলার পরিকল্পনা করছিল। এলাকায় অশান্তি তৈরির উদ্দেশ্যে ওই পরিকল্পনা করেছিল তারা। অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়েছিল তাদের। অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনার নেপথ্যে আর কারা জড়িত আছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। তারা দু’জনই সনাতনী একতা মঞ্চের সদস্য।”
এদিকে, গোপালনগর থানার পুলিশ পাকিস্তানের পতাকা লাগানোর ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করেছে, তারা বিজেপির কর্মী বলে দাবি করেছেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তিনি দাবি করেন, “যে দু’জন গ্রেফতার হয়েছে, তারা সক্রিয় বিজেপি কর্মী। শান্ত এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে তারা।”
এই ঘটনার সঙ্গে আরও যারা যুক্ত আছে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে, বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল জানিয়েছেন, “এই পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় পতাকার অবমাননা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ একজন সনাতনী পাকিস্তানের পতাকা রাস্তায় লাগিয়ে দেওয়ার পরে সেখানে সবাই হাঁটছে, তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুলিশ অন্যায় করছে।”
সূত্র: আনন্দবাজার, নিউজ এইটটিন
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- লাইভে এসে হিরো আলমের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- শিক্ষা ক্যাডারে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস সার্কুলার প্রকাশে পিএসসির চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি
- ঘুরে দাঁড়ানোর পথে দেশের শেয়ারবাজার: দৃশ্যমান হচ্ছে ইতিবাচক পদক্ষেপ
- ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি!
- ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে দুই কোম্পানি