ঢাকা, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২
পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে অশান্তির ছক, দুই ‘বিজেপি কর্মী’ গ্রেপ্তার

ডুয়া ডেস্ক: কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে সিন্ধু চুক্তি বাতিলসহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
এদিকে এই হামলার পর থেকেই ভারতের মুসলমানদের ওপর নেমে এসেছে অত্যাচার। কাশ্মীরে ১৫০০ এর অধিক মুসলিমকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের তথ্যও উঠে এসেছে। এছাড়াও কাশ্মীরে সন্দেহভাজন মুসলিমদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে সরকার। কাশ্মীরের বাইরে অন্যান্য রাজ্যেও মুসলমানদের বিরুদ্ধে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি কর্ণাটকে খেলায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়েছেন, এমন অভিযোগে এক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এবার পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা বাড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার আকাইপুরে একটি শৌচাগারে পাকিস্তানের পতাকা লাগানোর সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, চন্দন মালাকার ও প্রজ্ঞজিত মণ্ডল। তারা আকাইপুরেরই বাসিন্দা এবং সনাতনী একতা মঞ্চের সদস্য।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে এলাকায় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তারা। শুধুই তা-ই নয়, পাকিস্তানি পতাকার নীচে ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ’ এবং ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ লেখার উদ্দেশ্যেও ছিল তাদের। কিন্তু তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেলেন ওই দুই অভিযুক্ত। দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ জেলার গোপালনগর থানা পুলিশ।’
বনগাঁ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, “দুই ব্যক্তি পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে ভারতবিদ্বেষী স্লোগান তোলার পরিকল্পনা করছিল। এলাকায় অশান্তি তৈরির উদ্দেশ্যে ওই পরিকল্পনা করেছিল তারা। অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়েছিল তাদের। অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনার নেপথ্যে আর কারা জড়িত আছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। তারা দু’জনই সনাতনী একতা মঞ্চের সদস্য।”
এদিকে, গোপালনগর থানার পুলিশ পাকিস্তানের পতাকা লাগানোর ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করেছে, তারা বিজেপির কর্মী বলে দাবি করেছেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তিনি দাবি করেন, “যে দু’জন গ্রেফতার হয়েছে, তারা সক্রিয় বিজেপি কর্মী। শান্ত এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে তারা।”
এই ঘটনার সঙ্গে আরও যারা যুক্ত আছে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে, বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল জানিয়েছেন, “এই পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় পতাকার অবমাননা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ একজন সনাতনী পাকিস্তানের পতাকা রাস্তায় লাগিয়ে দেওয়ার পরে সেখানে সবাই হাঁটছে, তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুলিশ অন্যায় করছে।”
সূত্র: আনন্দবাজার, নিউজ এইটটিন
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- শেয়ার কারসাজিকারীদের শাস্তি ১০ বছর করার প্রস্তাব
- নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে: দুদু
- চাঙ্গা বাজারের নেপথ্যে চার স্টার শেয়ার