ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
ভারতীয় হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তানে বন্ধ হাজারের বেশি মাদ্রাসা

ডুয়া ডেস্ক: ভারতের সম্ভাব্য সামরিক হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে এক হাজারেরও বেশি মাদ্রাসা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ও তার জেরে তৈরি হওয়া কূটনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় একটি সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। এই ঘটনার জন্য ভারত পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছে। হামলার পর থেকেই ইসলামাবাদে সম্ভাব্য ভারতীয় সামরিক অভিযানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এমন উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনার জবাবে সেনাবাহিনীকে ‘সম্পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন, যেন তারা প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এটাকে বিশেষজ্ঞরা পাকিস্তানে হামলার 'সবুজ সংকেত' হিসেবে দেখছেন।
অন্যদিকে, পাকিস্তান পেহেলগামের ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে। দেশটি হুঁশিয়ার করে বলেছে, 'যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে'।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে জানান, ‘আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় হামলার আশঙ্কা রয়েছে।’
এই প্রেক্ষাপটেই পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের ধর্মবিষয়ক দপ্তর অঞ্চলজুড়ে মাদ্রাসাগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে। দপ্তরের প্রধান হাফিজ নজির আহমদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, "আমরা কাশ্মীরের সব মাদ্রাসায় ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছি।"
বিভাগের আরেক কর্মকর্তা জানান, "সীমান্তে উত্তেজনা ও সম্ভাব্য সংঘর্ষের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) ঘেঁষে থাকা পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের এলাকায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বসবাস করেন। সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে সেখানে অনেকেই নিজেদের সুরক্ষায় মাটির নিচে বাংকার তৈরি করছেন। যাঁদের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা এসব বাংকার সিমেন্ট দিয়ে আরও দৃঢ় ও সুরক্ষিত করে তুলছেন।
এলওসির কাছের চাকোঠি এলাকায় বসবাসরত ৪৪ বছর বয়সী দোকানি ইফতেখার আহমদ মির এএফপিকে বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় আছি আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে।’
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে: বাগছাস
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা