ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
কোথায় কোথায় রাখা আছে পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা?

ডুয়া ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আবারও উত্তেজনা বাড়ছে। এই উত্তেজনার মাঝে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারত যদি হামলা চালায়, তবে পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাববে। তার এই মন্তব্যের পর থেকে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র কোথায় এবং কী অবস্থায় রাখা আছে—তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
২০২৩ সালে 'ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্সেস' (FAS) পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, পাকিস্তান বছরে ১৪ থেকে ২৭টি নতুন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ দেশটির কাছে আনুমানিক ১৭০টি পারমাণবিক অস্ত্র ছিল। একই সময়ে ভারতের অস্ত্র সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮০টি।
FAS আরও জানায়, পাকিস্তান তার পারমাণবিক অস্ত্রগুলো বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গোপনে সংরক্ষণ করে, যাতে একসাথে সব ধ্বংস হওয়ার ঝুঁকি না থাকে। তবে কিছু ঘাঁটির অবস্থান ও গুরুত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেছে:
সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণস্থল:
-
মাশরুর বিমান ঘাঁটি (করাচি):
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এখান থেকে মিরাজ-III ও মিরাজ-V যুদ্ধবিমান চালানো হয়, যেগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। -
সর্গোধা ঘাঁটি (পাঞ্জাব):
এটি পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের অধীনে পরিচালিত হয়। ধারণা করা হয়, এখানে কৌশলগত ও পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষিত আছে। -
কামরা বিমান ঘাঁটি:
এটি পাকিস্তানের প্রধান বিমান রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র। এখানেও পারমাণবিক যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের প্রমাণ রয়েছে। -
গজনি ও খুশাব অঞ্চল:
উপগ্রহচিত্র ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এখানে গোপন ভূগর্ভস্থ বাংকারে পারমাণবিক অস্ত্র রাখা হয়।
অস্ত্র বহনের মাধ্যম:
-
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র:
হাতফ সিরিজের (Hatf I-VII) ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। এর মধ্যে শাহীন-১ ও শাহীন-২ সবচেয়ে শক্তিশালী। -
যুদ্ধবিমান:
মিরাজ-III ও মিরাজ-V বিমান পারমাণবিক অস্ত্র বহনে ব্যবহৃত হয়। এসব বিমান চীন ও পাকিস্তানের যৌথ প্রকল্পে তৈরি। -
ট্যাকটিকাল নিউক্লিয়ার অস্ত্র:
NASR (Hatf-IX) ক্ষেপণাস্ত্র স্বল্প পাল্লার হলেও কার্যকরভাবে ভারতীয় আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম।
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনা এখনো মূলত সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। বেসামরিক তদারকি তুলনামূলক কম, যার কারণে সংকটকালে হঠাৎ প্রতিক্রিয়াশীল সিদ্ধান্তের ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা দেশটির পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে: বাগছাস
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা