ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
যুদ্ধাবস্থায় আছি, সজাগ থাকতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: বর্তমানে দেশে এক ধরনের যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এই পরিস্থিতিতে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পুলিশকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “আমরা এক যুদ্ধাবস্থায় আছি। অশুভ শক্তি আমাদের স্বপ্ন ও ঐক্য ভেঙে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। এই শক্তিকে প্রতিহত করতে পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে।”
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল। অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনী জনরোষের শিকার হয়েছে, যার ফলে অনেক সৎ কর্মকর্তা পর্যন্ত মাশুল দিতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “স্বৈরাচার পতনের পর পুলিশ বাহিনী অনেকটাই ভেঙে পড়েছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ বাহিনীকে উজ্জীবিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। পুলিশের কাজের জন্য সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি করতে সরকার কাজ করছে।”
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, “বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে, পুলিশ এই স্বপ্ন পূরণের মূল শক্তি।” তিনি বলেন, “বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, স্বৈরাচার আমলে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল তা কমিয়ে পুলিশে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য, মানুষ ও পুলিশের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে যাতে মানুষ পুলিশকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।”
চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয় সেজন্য পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে সব প্রার্থীকে সমান আচরণ প্রদান এবং ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, ভবিষ্যতে পুলিশ বাহিনী যাতে দলীয় বাহিনী হিসেবে বা অন্যায় কাজে ব্যবহৃত না হয় সেজন্য সুষ্ঠু নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের আগের সময়টি কঠিন, তাই পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে, যাতে পরাজিত শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা না করতে পারে।
এছাড়া নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুলিশের সর্বোচ্চ সংবেদনশীলতা প্রদর্শনের জন্য তিনি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “দেশের নিরাপত্তা অনেক দূর এগিয়েছে। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।”
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা একটি ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে গঠিত বৈষম্যহীন দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। আমরা দ্বিতীয় বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছি, আর জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের সেই সুযোগ দিয়েছে। এই সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি, কারণ এবার ব্যর্থ হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা চিরকাল দায়ী থাকব।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার