ঢাকা, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
বিচার না হওয়া পর্যন্ত
পাঠদানে না ফেরার ঘোষণা কুয়েট শিক্ষকদের
.jpg)
ডুয়া নিউজ: গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হাতে শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা, উপাচার্য ও শিক্ষকদের লাঞ্ছনার বিষয়সহ সামগ্রিক বিশৃঙ্খলার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হলে শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরবেন না—এমন সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অনুমানভিত্তিক ও অযৌক্তিক অভিযোগ তুলে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি এবং ক্যাম্পাসে অস্থিরতা তৈরির প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়। ফলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়।
একই সঙ্গে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনার তদন্তে এমই বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লা আল ফারুককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় শিক্ষার্থীরা নির্মমভাবে আহত হওয়ার ঘটনা এবং চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ১৭ এপ্রিল কুয়েট শিক্ষক সমিতির এক জরুরি সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত সভার কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করেন, শিক্ষক সমিতির চতুর্থ সাধারণ (জরুরি) সভায় উপস্থিত সদস্যরা প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। অন্যথায় শিক্ষকদের পাঠদানে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয় বলে মত প্রকাশ করেন।
আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সভার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে সভায় শিক্ষকরা স্পষ্টভাবে জানান, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো ঘটনা ঘটিয়ে কেউ যেন ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষকদের মধ্যে ঐক্য অটুট থাকবে এবং কোনো স্বার্থান্বেষী মহলকে সহযোগিতা করা হবে না—এমন দৃঢ় অবস্থানও তুলে ধরা হয়।
সভার গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ—
ক. আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিকে ভিত্তিহীন, অনুমাননির্ভর ও অযৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। সভায় বলা হয়, এ ধরনের দাবি ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার অপচেষ্টা মাত্র।
খ. প্রতিটি বিশৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, বিশেষ করে উপাচার্য ও সম্মানিত শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনায় যারা সম্পৃক্ত, তাদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি করা হয়। দাবি পূরণ না হলে শিক্ষকরা একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
গ. শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরির জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সদস্যরা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চালানো শারীরিক নিপীড়ন এবং অনলাইন হয়রানির ঘটনাগুলো দলিল আকারে উপস্থাপন করবেন, যা পরবর্তীতে প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা হবে দোষীদের বিচারের দাবিতে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন:
সিএসই বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আজিজ; আইইপিটি বিভাগের প্রভাষক নাহইয়ান আহনাফ প্রতীক; টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কানিজ ফাতেমা মিশফা এবং আইপিই বিভাগের প্রভাষক জাহিদ হাসান আশিক।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৪ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- বিকালে আসছে ২১ কোম্পানির ইপিএস
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- শিবলী রুবাইয়াত ও শেখ শামসুদ্দিন শেয়ারবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা