ঢাকা, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২
রিজভী
‘হাসিনাশূন্য বাংলাদেশ তাদের জন্য খুবই মনোব্যাথার কারণ’
.jpg)
ডুয়া নিউজ: আমাদের ভেতরে ভুল বোঝাবুঝি হলে ফ্যাসিবাদ মাথা তোলার চেষ্টা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, “কেউ কেউ বলছেন সংস্কার সম্পাদন না করে নির্বাচন করলে যেই দল ক্ষমতায় আসবে তারা সংস্কার করতে পারবে কিনা সন্দেহ। অথচ সংস্কার হলো রাজনৈতিক অঙ্গীকার। যে দল নির্বাচিত হবে তাদের তো পার্লামেন্টে পাস করতে হবে। এই ধরনের ধোঁয়াশা বিভ্রান্তি তৈরি করে কার লাভ হচ্ছে? গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছি। যে সমস্ত দল ও সর্বশেষ ছাত্র-জনতা আমাদের ভেতরই যদি মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং বাড়ে, ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে তাহলে তো ফ্যাসিবাদ মাথা তোলার চেষ্টা করবেই।”
আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে শহরের অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে জিয়া পরিষদ নাটোর আয়োজিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জিয়াউর রহমান শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “দেশের জনগণ শেখ হাসিনার পতন দেখতে চেয়েছেন, সেই সাথে একটি ভালো সরকার চেয়েছেন। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার, যেই সরকার একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে। কেননা অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন জাদুঘরে চলে গিয়েছিল। সেই জাদুঘর থেকে জীবন্ত অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই বিশ্বাস দেশের মানুষ ড. ইউনূস সাহেবের ওপর রেখেছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে ডিসেম্বর না জুন, ডিসেম্বর না মার্চ বলা হয় তাহলে এটি সরকারের দৃঢ় সংকল্প বা অঙ্গীকার যেটির ওপর জনগণের আস্থা বাড়ে সেটা অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে তাঁবেদারি রাষ্ট্র হিসেবে মনে করতো পার্শ্ববর্তী দেশ (ভারত)। কে তাদের আনুগত্য করবে, কে তাদের পক্ষে থাকবে, তাদেরকে নিয়ে বাংলাদেশকে তাদের কব্জায় নিতে চেয়েছিল। এ জন্যই দুনিয়া কাঁপানো ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে এক ভয়ংকর দানবীয় ফ্যাসিস্টের পতন হলো এবং সে পালিয়ে গেল সেই দেশে (ভারতে)।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এরপর থেকেই সেই দেশের মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা উন্মাদ হয়ে গেল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করল। তারা বলতে লাগলো বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের আস্তানা। যেই গুম খুনের মধ্য দিয়ে রক্ত গঙ্গা বইয়ে ক্ষমতার সিংহাসন ধরে রেখেছিল শেখ হাসিনা, সেই শেখ হাসিনাকে তারা আশ্রয় দিয়ে প্রশ্রয় দিয়ে টিকিয়ে রেখে তারা চেয়েছে বাংলাদেশে থাকবে তাদের কব্জার মধ্যে। তাদের পররাষ্ট্রনীতি, তাদের অভ্যন্তরীণ নীতি, বাণিজ্যিক নীতি যা হবে সেটাই বাংলাদেশকে মানতে হবে, সেটাই করতে চেয়েছিলেন এবং অনেকটাই পূরণ করেছিলেন শেখ হাসিনার মাধ্যমে। তাই শেখ হাসিনা শূন্য বাংলাদেশ তাদের (ভারতের) জন্য খুবই মনো ব্যথার কারণ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে