ঢাকা, সোমবার, ২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে আজ, আইএমএফের ২ কিস্তি একসঙ্গে পাওয়ার আশা সরকারের

ডুয়া ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কার্যক্রমের আওতায় অর্থ ছাড়ের আগে শর্তসমূহ পর্যালোচনা করতে আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধি দল আজ শনিবার ঢাকায় আসছে। প্রতিনিধি দলটি দুই সপ্তাহব্যাপী সফরে বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করবে। সরকার আশা করছে সফরের শেষে তারা প্রতিশ্রুত ঋণের দুটি কিস্তি একসাথে পেতে সক্ষম হবে।
আইএমএফ-এর প্রতিনিধি দল আগামীকাল রোববার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক করবে। এর পর তারা বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে বসবে। বৈঠকগুলোতে আইএমএফ ঋণ চুক্তির আওতায় নির্ধারিত সংস্কারমূলক পদক্ষেপ এবং শর্তের বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে। সফরের শেষ দিন ১৭ এপ্রিল প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করবে।
আইএমএফের সঙ্গে সরকারের ঋণ কর্মসূচি ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হয়। এ সময় সরকার তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছিল। কিন্তু কিছু শর্ত পূর্ণ না হওয়ায় চতুর্থ কিস্তি ছাড় হয়নি। চলমান সফরে সন্তোষজনক অগ্রগতি হলে আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসাথে ছাড় হতে পারে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।
তবে এই ঋণ কর্মসূচির কিছু শর্ত পালনের ব্যাপারে সরকারের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুতের ভর্তুকি কমিয়ে দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের উপরে ছেড়ে দেয়ার শর্ত রয়েছে, যা সরকারের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। এসব বিষয়ে সরকার আরও সময় চাচ্ছে।
আইএমএফের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার পাশাপাশি ব্যাংক খাতে বেশ কিছু সংস্কারমূলক শর্ত দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের হার ৪০ শতাংশের উপরে রয়েছে। তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। অন্যদিকে রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের ব্যর্থতা বেড়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শর্ত পূরণের বিষয়ে দর-কষাকষির ফলে আইএমএফের কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি আরও স্থগিত হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে নমনীয় মনোভাব প্রদর্শনের চিন্তা করা হচ্ছে। তবে যদি আইএমএফ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় তবে সরকারের কাছে বিকল্প থাকবে না।
সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অর্থ উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন, "বাজেট সহায়তার জন্য আইএমএফ ঋণ প্রয়োজন এ কারণে বাংলাদেশ সরকার এবং আইএমএফ যৌথভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত দুটি কিস্তি একসাথে ছাড়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল।"
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি!
- ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে দুই কোম্পানি